আগরতলা (ত্রিপুরা): সারা ভারতের তুলনায় অনেক কম বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন উত্তর-পূর্বের মানুষরা। সারাদেশে বছরে মাথাপিছু বিদ্যুৎ ব্যবহারের গড় হল ৮৮০ মিলিয়ন ইউনিট।
উত্তর-পূর্বাঞ্চলে এই হার অনেক কম। এখানে বছরে একজন মানুষ ব্যবহার করেন মাত্র১০০-২২০ মিলিয়ন ইউনিট। বিদ্যুৎ ব্যবহারের এই চিত্র সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেছেন এককে মহাপাত্র। তিনি উত্তরপূর্বাঞ্চলের বিদ্যুৎ কমিটির সদস্য সচিব। এই অঞ্চলের মানুষের কম বিদ্যুৎ ব্যবহারের কারণ হিসাবে তিনি দায়ী করেছেন শিল্পহীনতাকে।
উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিদ্যুৎ কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে এসকে মাহাপাত্র ত্রিপুরা রাজ্যে এসেছেন। বুধবার থেকে এই বৈঠক চলছে আগরতলার প্রজ্ঞাভবনে। বৈঠকের ফাঁকে এসকে মহাপাত্র কথা বলেন সাংবাদিকদের সঙ্গে।
তিনি জানান, উত্তর-পূর্বাঞ্চলে শিল্প বলতে তেমন উল্লেখযোগ্য কিছুই নেই। একমাত্র আসামে কিছু শিল্প-কারখানা রয়েছে। আর নামমাত্র কিছু আছে ত্রিপুরায়। এই অঞ্চলের অন্য রাজ্যগুলিতে আর বলার মতো কিছু নেই। যার কারণে এই অঞ্চলের মানুষ বিদ্যুৎ কম ব্যবহার করেন। তিনি জানিয়েছেন তবে গৃহস্থালি কাজে এখানে বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়ছে। এক্ষেত্রে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিদ্যুতের ব্যবহার ৪৬ শতাংশ।
এসকে মহাপাত্র জানিয়েছেন, দ্বাদশ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় সারা দেশের ৮৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছে। আর উত্তরপূর্বাঞ্চলে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছে ২৩০০ মেগাওয়াট। বর্তমানে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে উৎপাদন ক্ষমতা হল ২২৩৫ মেগাওয়াট। কিন্তু উৎপাদন হচ্ছে মাত্র ১৫০০ থেকে ২০০০ মেগাওয়াট। কিন্তু চাহিদা প্রায় ২২০০ মেগাওয়াট।
এসকে মহাপাত্র জানিয়েছেন, এই অঞ্চলের বিদ্যুৎ পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য এখুনি প্রয়োজন ৮১৬ কোটি টাকা। কিন্তু তিনি জানতে পারেননি কবে নাগাদ পাওয়া যাবে এই অর্থ।
কারণ প্রায় ৩০ বছর আগে অরুণাচল প্রদেশে শুরু হয়েছিল ৩০ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ার। যা দেশের চাহিদার অনেকটাই মিটিয়ে দিত। কিন্তু ৩০ বছর পরেও সেই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৩
এসএস/এমজেডআর