ঢাকা: সিরিয়ায় সম্ভাব্য হামলার লক্ষ্যবস্তুর তালিকা বাড়াতে দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। সিরিয়ার সরকারি বাহিনীকে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারে অক্ষম করে দেওয়ার জন্য ওবামা বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।
ওবামার এমন নির্দেশের অর্থ হচ্ছে ফ্রান্সের সামরিক বাহিনী সম্ভাব্য হামলার লক্ষ্যবস্তুর যে তালিকা করেছিল তার সঙ্গে নতুন স্থান যোগ হবে। সিরিয়ার ৫০টি বা তারও বেশি গুরুত্বপুর্ণ স্থান যুক্তরাষ্ট্রের তালিকায় থাকতে পারে।
বিশেষ কিছু স্থানে তোমাহক ক্রুইজ ক্ষেপণাস্ত্রসহ মার্কিন ও ফরাসি যুদ্ধবিমান ব্যবহারের কথা ভাবছে ওবামা প্রশাসন।
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কর্মকর্তারা বলেছেন, সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্রাগারে হামলা চালানো হবে। বিদ্রোহীদের ওপর ব্যবহারের জন্য যেসব স্থানে সিরিয়ার সরকারি বাহিনী রাসায়নিক অস্ত্র মজুদ রেখেছে সেসব স্থানে হামলা হবে ।
মার্কিন সামরিক বাহিনীর জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ জেনারেল মার্টিন ই. ডেম্পসে ইঙ্গিত দিয়েছেন, তাদের হামলা সিরিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, দূরপাল্পার ক্ষেপণাস্ত্র এবং রকেটসহ বিভিন্ন অস্ত্রের অবস্থান লক্ষ্য করে হতে পারে।
সিরিয়ার বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ ওঠার পর দেশটিতে সামরিক হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা। তবে তিনি কংগ্রেসের অনুমতি নিয়েই হামলা চালাতে চান। ওবামা সিরিয়ায় ‘সীমিত পরিসরে’ হামলা চালানোর প্রস্তাব করেছেন।
ধারণা করা হচ্ছে, ছুটি শেষে ৯ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া কংগ্রেসের অধিবেশনে ওবামার প্রস্তাব অনুমোদন পেতে পারে। তবে রিপাবলিকানার বলছে, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনে ঘটাতে ওবামার প্রস্তাব যথেষ্ঠ নয়।
এদিকে রাশিয়ার শুরু হওয়া জি২০ এর সম্মেলনে ছায়া ফেলেছে সিরিয়া ইস্যু। ওবামার হামলা চালানোর প্রস্তাবে একমত হতে পারেন নি সংগঠনের নেতারা। সেন্ট পিটার্সবার্গে সম্মেলনের প্রথম দিনের ডিনার সেশন শেষ হলেও সিরিয়া নিয়ে মতৈক্যে পৌঁছাতে পারেননি নেতারা।
বৃহস্পতিবার রাতে ইতালির প্রধানমন্ত্রী টুইট করেছেন, জি২০’র ডিনার সেশন এইমাত্র শেষ হলো কিন্তু সিরিয়া নিয়ে বিভেদ নিশ্চিত বোঝা গেল। ’
বাংলাদেশ সময়: ১০১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৩
এসএফআই/জিসিপি