ঢাকা: মুসলিম ব্রাদারহুডকে নিষিদ্ধ বা ভেঙে দেওয়ার কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে মিশরের সরকার। এর আগে দেশটির সোশ্যাল সলিডারিটি মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়, তারা ‘কয়েক দিনের’ মধ্যে বেসরকারি সংগঠন হিসেবে ইসলামী সংগঠনটির নিবন্ধন বাতিল করা হবে।
কিন্তু মিশরের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, সলিডারিটি মন্ত্রণালয় এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত জারি করেনি।
গত ৩ জুলাই প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর ব্রাদারহুডের বিরুদ্ধে দমনপীড়ন শুরু করে সামরিক কর্তৃপক্ষ।
ব্রাদারহুডের শীর্ষ নেতা মোহাম্মদ বদিসহ অসংখ্য নেতাকে সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ আটক করা হয়েছে।
মুরসির সমর্থকরা তাকে পুনবর্হালের দাবিতে ৩ জুলাই থেকে আন্দোলন করছে। সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে মুরসির অনেক সমর্থক নিহত হয়েছে।
৮৫ বছরের সংগঠন ব্রাদারহুড ১৯৫৪ সালে নিষিদ্ধ করেছিল তৎকালীন সামরিক সরকার। কিন্তু গত মার্চে বেসরকারি সংগঠন হিসেবে নিবন্ধন করে ব্রাদারহুড।
ব্রাদারহুডের নিবন্ধিত রাজনৈতিক শাখা হচ্ছে ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস পার্টি। সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারককে ক্ষমতাচ্যুত করার পর ২০১১ সালের জুনে প্রতিষ্ঠিত হয় ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস পার্টি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৩
এসএফআই/আরকে