ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

অস্ট্রেলিয়ায় নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৭, ২০১৩
অস্ট্রেলিয়ায় নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে

ঢাকা: অস্ট্রেলিয়ার সাধারণ নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন দেশটির নাগরিকরা। ধারণা করা হচ্ছে ছয় বছর সরকারি দলে থাকার পর এবার লেবার পার্টিকে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে হবে।

 

দেশটির স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এবারের সাধারণ নির্বাচনে প্রায় ১ কোটি ৪৭ লক্ষ ভোটার অংশগ্রহণ করছেন। দেশের নাগরিক যাদের বয়স ১৮ বছরের বেশি তাদের বাধ্যতামূলকভাবে ভোট প্রদান করতে হবে।

ভোট শুরু হওয়ার প্রাথমিক পর্যায়ে ৩০ লাখেরও বেশি ভোট পড়েছে আর এ বিষয়টিকে একটি রেকর্ড বলে উল্লেখ করল দেশটির নির্বাচন কমিশন।

তিন মাস আগে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন কেভিন রুড। ২০১০ সালে তাকে সরিয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন জুলিয়া গিলার্ড। গত জুনে গিলার্ড লেবার পার্টি প্রধানের পদ থেকে অবসর নিলে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পান রুড।

নির্বাচনের আগে প্রাথমিক জনমত জরিপের ফল বলেছিল, ক্ষমতাসীন দলের চেয়ে বিরোধী দল ৫২ শতাংশ মানুষের সমর্থনে এগিয়ে রয়েছে।   আর ক্ষমতাসীন দলের পক্ষে জনসমর্থন ৪৮ শতাংশ। আর সর্বশেষ এই জনমত জরিপে দুই প্রার্থীর ব্যবধান ঘোচাতে জন্য ভোটারদের আহ্বান জানান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী রুড।

নির্বাচনে লিবারেল পার্টির নেতৃত্বাধীন জোটকে বিজয়ী করার জন্য বিরোধী দলের নেতা টনি অ্যাবট মাঠেই রয়েছেন।

স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত ভোটে লিবারেল পার্টি নেতৃত্বাধীন জোট এগিয়ে রয়েছে। বিরোধী দলীয় প্রার্থী টনি অ্যাবোট প্রধানমন্ত্রী কেভিন রুডের চেয়ে এগিয়ে আছেন।

প্রধান দুই দলের নেতা শুক্রবার তাদের সর্বশেষ তাদের নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন। রুড যখন নিউ সাউথ ওয়েলসে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। অ্যাবোট তখন মেলবোর্নে একটি নির্বাচনী বক্তৃতা দিচ্ছিলেন।

ধারণা করা হচ্ছে, এবারের নির্বাচনে দেশটির অর্থনীতি, নিরাপত্তা ও কার্বন ট্যাক্সের মতো বিষয়গুলোই ভোটারদের নতুন সরকার নির্ধারণে প্রভাবিত করবে।

উভয় দলের প্রচারণাতেই অর্থনীতির পরিবর্তনের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। রুড তার নির্বাচনী প্রচারণায় লেবার পার্টির নেতৃত্বাধীন সরকারের সময়ে অর্থনৈতিক সাফল্যের ওপ্র জোর দিয়েছেন। নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি

বলেছেন, ‘চাকরি, চাকরি এবং আরও চাকরি, স্বাস্থ্য, হাসপাতাল ও ব্রডব্যান্ড, এবং জীবনধারণের খরচ কমাতে তার সরকার সহায়তা অব্যাহত রাখবে। ’

এর আগে লেবার পার্টি গাড়ি শিল্পের উন্নয়নে ২০ কোটি অস্ট্রেলীয় ডলারের প্যাকেজ ঘোষণা করেছিল।

অ্যাবট তার নির্বাচনী প্রচারণায় বলেছেন, ‘তিনি অপচয় বন্ধ করবেন এবং একবিংশ শতাব্দীর জন্য সুগম পথ তৈরি করবেন। ’ তিনি জনগণকে লেবার পার্টির নেতৃত্বাধীন সরকারের ‘ভঙ্গুর ও ঝুলে যাওয়া সংসদ’ সম্পর্কে সতর্ক করে দেন।

তিনি বলেন, ‘নতুন পথ সৃষ্টিতে একমাত্র উপায় হচ্ছে নতুন সরকার নির্বাচিত করা। ’

নির্বাচনী প্রচারনায় অ্যাবটের গুরুত্বপূর্ণ নীতিগুলোর মধ্যে ছিল কর্পোরেট দূষণ কর ও খনি থেকে অর্জিত লাভের ওপর কর বাতিল করা, কর্মীদের সবেতন মাতৃত্ব ও পিতৃত্বকালীন ছুটি দেওয়ার পরিকল্পনাসহ শক্তিশালী অর্থনীতির ওপর জোরদার করা।

বাংলাদেশ সময়: ১১২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৩
কেএইচকিউ/বিএসকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।