ঢাকা: নারী শিক্ষায় লড়াই চালিয়ে যেতে চায় পাকিস্তানি কিশোরী মালালা ইউসুফজাই (১৬)।
সুইজারল্যান্ডের হেগ শহরে আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কার-২০১৩ গ্রহণ উপলক্ষে আয়োজিত (৬ সেপ্টেম্বর) এক অনুষ্ঠানে তার লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ফের অঙ্গীকার করে সে।
তার ভাষণে মালালা (১৬) জানায়, গত বছরে তার মাথায় গুলি করায় সে আরো বেশি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হয়েছে লড়াই চালিয়ে যেতে।
মালালা বলে, ‘আমি সহিংসতার একটি লক্ষ্যবস্তু ছিলাম মাত্র। অনেকের জন্য আমরা আমাদের লড়াই চালিয়ে যেতে পারি। ’
এ অনুষ্ঠানে ২০১১ সালে আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কার প্রাপ্ত ইয়েমেনি সাংবাদিক তাওয়াক্কল কারমানের কাছে থেকে মালালা ২০১৩ সালের পুরস্কার গ্রহণ করে।
ডাচ পার্লামেন্টের কাছে নাইট হলে মালালার হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়ার সময় তাওয়াক্কল কারমান বলেন, ‘তুমি আমার হিরো। ’
মিস কারমান মালালাকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘তুমি কেঁদেছো। কিন্তু আমাকে বা মেয়েদের কেউই শিক্ষাগ্রহণ থেকে বিরত রাখতে পারবে না। ’
তিনি বলেন, ‘তুমি যখন তোমার দেশে ইতিহাসের মাইল ফলক তৈরি করেছো, ঠিক তখনই তোমার মাথা লক্ষ করে বুলেট ছোড়া হয়েছে। ’
মালালার মাথা লক্ষ করে গুলি করার পর তার জীবন বাঁচাতে ব্রিটেনে চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং বর্তমান মালালা সেখানেই বাস করছে।
মালালার বেঁচে থাকার যুদ্ধ ও জুলাই মাসে জাতিসংঘে ভাষণ দেওয়ার পর তাকে নোবেল শান্তি পুরস্কারে মনোনয়নে দাবি তোলা হয়।
পাকিস্তানে একপক্ষ মালালাকে ‘জাতীয় বীর নারী’ ঘোষণার দাবি জানায়। আবার অন্য আরেকটি পক্ষ পশ্চিমা এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য মালালার কঠোর সমালোচনা করে।
‘আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কার’ ২০০৫ সালে প্রবর্তন করা হয়। ডাচভিত্তিক কিডস-রাইটস ফাউন্ডেশন এটি চালু করে এবং সাবেক সোভিয়েত নেতা মিখাইল গরভাচেভ প্রথম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কারের আর্থিক মূল এক লাখ ৪৩ হাজার ডলার।
গতবছর ফিলিপাইনের ১৩ বছর বয়সী ক্রিস কেস ভেলডেজ এ পুরস্কার লাভ করে। পথশিশুদের নিয়ে কাজ করার জন্য সে এ পুরস্কার পায়। এমনকি সে নিজেও বাস্তুহারাদের একজন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৩
এবি/বিএসকে