আগরতলা (ত্রিপুরা): ট্রান্স এশিয়ান রেল পথের সঙ্গে যুক্ত হবে ত্রিপুরা। ভারত সরকারের রেল মন্ত্রণালয়ের এক সমীক্ষায় এমনই প্রস্তাব করা হয়েছে।
এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ত্রিপুরার সঙ্গে গোটা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার যোগাযোগের রাস্তা খুলে যাবে। উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের নির্মাণ শাখার মুখ্য কর্মকর্তা হরপাল সিংহ আগরতলায় এসে এই সম্ভাবনার কথা জানান।
দেশ ভাগের পর ভৌগোলিক দিক থেকে ত্রিপুরা বেশ অসুবিধাজনক অবস্থায় পড়ে। দেশ ভাগের আগে ত্রিপুরার মানুষজনের যাতায়াতের প্রধান উপায় ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দেশভাগের পর ত্রিপুরার জন্য সে পথ অবরুদ্ধ হয়। কিন্তু বর্তমানে যে প্রস্তাব করা হয়েছে তাতে ত্রিপুরার সেই অবরুদ্ধ পরিস্থিতি অনেকটাই ঘুঁচতে পারে।
প্রকল্পে ত্রিপুরার আমবাসার জহরনগর থেকে মিজোরামের কোলাশিব হয়ে মায়ানমারের ডারলং পর্যন্ত একটি রেল রুট তৈরির প্রস্তাব করা হয়েছে। এই প্রকল্প সার্থক হলে ত্রিপুরা গোটা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সিংহদ্বার হতে পারে।
জহরনগর থেকে ডারলং পর্যন্ত রেল রুটের দৈর্ঘ্য ২৫৭ কিলোমিটার। এর মধ্যে জহরনগর থেকে মিজোরামের কোলাশিবের দীর্ঘ ১০৯ কিলোমিটার। আর কোলাশিব থেকে মায়ানমারের ডারলং পর্যন্ত দূরত্ব ১৪৮ কিলোমিটার। উত্তরপূর্বাঞ্চলের জন্য যে ২০২০ ভিশন দলিল তৈরি করা হয় তাতে এই রেল রুট নির্মাণের প্রস্তাব করেছিলো ত্রিপুরা সরকার।
ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্ক নামে পরিচিত এই প্রকল্পে তুরস্কের ইস্তামবুল থেকে সিঙ্গাপুর পর্যন্ত ১৪ হাজার ৮০ কিলোমিটার রেল লিংক তৈরির কথা বলা হয়েছিলো। ১৯৬০ সালেই ভাবা হয়েছিলো এই প্রকল্পের কথা। ইউরোপ ও এশিয়ার মধ্যে রেল যোগাযোগ গড়ে তুলতে এ প্রকল্পের কথা ভাবা হয়।
এই আন্তর্জাতিক প্রকল্পে এখন পর্যন্ত অংশীদার হয়েছে ইরান, চীন, রাশিয়া, পাকিস্তান, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনামসহ ২০টি দেশ। সার্কভুক্ত চারটি দেশও রয়েছে এর আওতায়। কিন্তু এ প্রকল্পে এখনও যুক্ত হয়নি বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৩
টিসি/এএ/জিসিপি