ঢাকা: ভারতের নয়াদিল্লীর গণধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত চার আসামির সাজা শুক্রবার ঘোষণা করা হবে। দিল্লীর দ্রুত বিচার আদালত গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর ঘটে যাওয়া নৃশংস এই গণধর্ষণ মামলার রায় প্রদান করবেন।
দোষী সাব্যস্ত চারজন হলেন, মুকেশ (২৬), বিনয় শর্মা (২০), পবন গুপ্ত (১৯) ও অক্ষয় সিং তালুকদার (২৮।
বুধবার অতিরিক্ত দায়রা বিচারক যোগেশ খান্না প্রসিকিউশনের যুক্তিতর্ক শুনে শুক্রবার রায়ের দিন ধার্য করেন। প্রসিকিউটশন আদালতে কাছে চারজনের মৃত্যুদণ্ড প্রদানের জন্য আবেদন করেন। যুক্তি হিসেবে বলা হয়, যেহেতু ওই ছাত্রী ক্ষমা চাওয়ার পরও তারা ক্ষমা করেনি তাই অভিযুক্ত চারজনকেও ক্ষমা করা উচিত হবে না।
জনাকীর্ণ আদালত কক্ষে দাঁড়িয়ে সরকারপক্ষের আইনজীবী বলেন, এই ৪ অভিযুক্ত যে ঘটনা ঘটিয়েছে তা বিরল থেকে বিরলতম ঘটনা। এই অপরাধকে পূর্বপরিকল্পিত বলেও জানালেন তিনি।
বুধবার সকালে কারাগার থেকে আদালতে আনা হলে একজন অভিযুক্ত ‘আমি নির্দোষ’, ‘আমি নির্দোষ’ বলে চিৎকার করতে থাকে।
২৩ বছরের মেডিকেল ছাত্রীকে গণধষর্ণ ও ঠান্ডা মাথায় হত্যার ঘটনায় দিল্লী পুলিশ অভিযুক্ত চারজনের ফাঁসির আবেদন করেছে।
তবে অপরাধীদের আইনজীবী প্রাণদণ্ড না দেয়ার আবেদন জানিয়ে বলেছেন, যেহেতু ওদের বয়স কম তাই যেন ক্ষমা করে দেয়া হয়।
এদিকে, অভিযুক্ত বিনয়, অক্ষয় ও মুকেশের আইনজীবীরা সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানিয়েছেন।
গত ১৬ ডিসেম্বর ২৩ বছর বয়সী প্যারা-মেডিক্যাল ছাত্রী তার এক পুরুষ বন্ধুর সঙ্গে ফেরার সময়ে দক্ষিণ দিল্লির একটি বাসস্টপ থেকে তাদের ভুল বুঝিয়ে বাসে উঠিয়ে নেন যাত্রী সেজে বসে থাকা অভিযুক্তরা। তারপরে পুরুষ বন্ধুটিকে মারধর করে ওই তরুণীকে গণধর্ষণ ও পাশবিক অত্যাচার করে তারা। তারপর তাঁকে নগ্ন করে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেওয়া হয়। দেশে বেশ কিছু দিন চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হলে সেখানে ২৮ ডিসেম্বর ছাত্রীর মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় সারা দেশে তীব্র প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ হয়। দিল্লীসহ দেশজুড়েই অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তির দাবিতে হাজার হাজার সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে আসে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৩
কেএইচ/আরআইএস