ঢাকা: ভূমধ্যসাগরে আটকে পড়া ইতালিয়ান প্রমোদতরী কোস্টা কনকর্ডিয়া উদ্ধারে ব্যাপক অভিযান শুরু হয়েছে।
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে তিন ঘণ্টা পেছালেও শেষ পর্যন্ত স্থানীয় সময় সোমবার সকাল ন’টায় এ উদ্ধার অভিযান শুরু হয়।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, জাহাজ উদ্ধার অভিযানের ইতিহাসে এতো প্রস্তুতি খুব কমই দেখা গেছে।
উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা আশা করছেন, আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যেই উদ্ধার অভিযানে সফল হবেন তারা।
ইতালির বেসামরিক নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সমুদ্র ও আবহাওয়া পরিস্থিতির বর্তমান অবস্থা উদ্ধার অভিযানের জন্য যুতসই। তাই উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়েছে।
উদ্ধার অভিযানে কাজ করা প্রকৌশলী সার্জিও গিরোত্তো সংবাদ মাধ্যমকে জানান, পরিকল্পনামাফিক অভিযান চলছে, আমরা পরিকল্পনার প্রতিটি পদক্ষেপ মেনে চলছি। এখন পর্যন্ত কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি।
উদ্ধার অভিযানের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কিছু সাফল্যের সংবাদ আসতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
জানা গেছে, হেলে পড়া জাহাজটি সোজা করে তীরে ভেড়াতে বড় ধরনের লৌহ শেকল ও তার বেঁধেছেন উদ্ধারকর্মীরা। এক লাখ ১৪ হাজার টন ওজনের জাহাজটি প্রায় তিনটি ফুটবল মাঠের মতো লম্বা বলে এটিকে উদ্ধার করতে বেশ বেগ পেতে হবে প্রকৌশলীদের।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের জানুয়ারি মাসে নাবিকদের অসাবধানতায় নির্দিষ্ট নৌপথ হারিয়ে ইতালির পশ্চিম উপকূলের দ্বীপ গিগলিওর অদূরে তুসকানের দ্বীপের খুব কাছাকাছি চলে আসায় পাথরের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে হেলে পড়ে জাহাজটি। এতে আতঙ্কিত হয়ে অনেক যাত্রী জাহাজ থেকে সমুদ্রে লাফ দেন। ওই ঘটনায় ৩২ জন নিহত হয়।
ইতালির কোস্টগার্ডের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছিল, প্রায় চার হাজারেরও বেশি যাত্রী এবং এক হাজার ২৩ জন নাবিক ছিল ওই প্রমোদতরীতে। যাত্রীদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা ছিলেন।
ওই ঘটনায় জাহাজটির ক্যাপ্টেন ফ্রান্সেসকো শ্যাটিনোসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে নরহত্যার অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৩
এইচএ/এডিবি