ঢাকা: রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের পেছনে বিদ্রোহীদের জড়িত থাকার ‘বস্তুগত প্রমাণ’ রাশিয়ার কাছে উপস্থাপন করেছে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সরকার।
রাশিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্জেই র্যাবকভের উদ্ধৃতি দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো বুধবার এ খবর জানিয়েছে।
সংবাদ মাধ্যমগুলোকে এ খবর জানানোর পাশাপাশি রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের ব্যাপারে আসাদবাহিনীকে দোষারোপ করে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক দলের উপস্থাপিত প্রতিবেদনকে ‘রাজনৈতিক, পক্ষপাতী এবং একপক্ষীয়’ বলে অভিহিত করেছেন সার্জেই র্যাবকভ।
তিনি বলেন, পর্যবেক্ষকরা কেবল ২১ আগস্টের ওই রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের ঘটনাই তদন্ত করেছেন, তার আগের তিনটি ঘটনার ব্যাপারে জানারও চেষ্টা করেননি, সেখানে কী বর্বরতা চালিয়েছে বিদ্রোহীরা।
অবশ্য, সিরিয়া সরকারের উপস্থাপিত এই প্রমাণ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে উপস্থাপন করা হবে কিনা এ ব্যাপারে কিছু বলেননি র্যাবকভ।
সম্প্রতি সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রমাণ সম্বলিত একটি প্রতিবেদন জাতিসংঘে উপস্থাপন করে পর্যবেক্ষক দল। তবে, কারা ওই রাসায়নিক অস্ত্র হামলার সঙ্গে জড়িত এ ব্যাপারে অকাট্য কোনো প্রমাণ হাজির করতে পারেননি তারা।
যদিও রাসায়নিক অস্ত্র হামলার জন্য আসাদ সরকারকে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত করেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন।
উল্লেখ্য, গত ২১ আগস্ট দামেস্কের উপকণ্ঠে রাসায়নিক অস্ত্র হামলায় কয়েকশ মানুষ নিহত হয়। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় ওই হামলা চৌদ্দশ’রও বেশি সিরিয়ান নাগরিক নিহত হয়েছে। এ হামলার জন্য আসাদ বাহিনীকে দায়ী করে সিরিয়ায় সামরিক অভিযানেরও পরিকল্পনা করে যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা। তবে রাশিয়া ও চীনের জোরালো বিরোধিতায় শেষ পর্যন্ত ‘রাসায়নিক অস্ত্র জমা দেওয়ার শর্তে’ অভিযানের সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটে মার্কিন মিত্ররা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৩
এইচএ/জিসিপি