ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন তার দেশ কখনোই রাসায়নিক অস্ত্র তৈরি করবে না এবং কখনও সে ধরণের কোন পরিকল্পনাও ছিল না।
আমেরিকার একটি সংবাদ সংস্থা এনবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তেহরানের বিতর্কিত পরমাণু কর্মসূচী নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর সাথে সমঝোতা করার সব রকম এখতিয়ার তার রয়েছে।
সাক্ষাৎকারে ড. রুহানি আরো বলেছেন, ইরানের পরমাণু জ্বালানী কর্মসূচির ব্যাপারে পাশ্চাত্যের সঙ্গে আলোচনায় পূর্ণ কর্তৃত্ব নিয়েই আলোচনায় বসবে তার সরকার।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রথম কোন পশ্চিমা সংবাদ সংস্থাকে সাক্ষাৎকার দিলেন মি. রুহানি।
রুহানি বলেন, “পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি বা এনপিটি’তে বেসামরিক পরমাণু কর্মসূচি পরিচালনার যে অধিকার স্বীকৃত রয়েছে তার চেয়ে বেশি কিছুই চায় না ইরান। ”
এই সাক্ষাৎকারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওমাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি চিঠির বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন তার চিঠির বিষয়বস্তু ছিল খুবই ইতিবাচক ও গঠনমূলক।
এ সময় তিনি ইরানের বিতর্কিত পরমাণু কর্মসূচী নিয়ে বেশ খোলামেলা আলাপ করেন।
পরমাণু কর্মসূচী নিয়ে সমঝোতার জন্য প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার পূর্ণ এখতিয়ার রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
আগামী সপ্তাহে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সম্মেলনে যোগ দিতে নিউইয়র্ক যাবেন প্রেসিডেন্ট রুহানি। গত জুনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর এটা হবে তার প্রথম নিউইয়র্ক সফর।
ইরান বর্তমানে তার পরমাণু কর্মসূচীর কারণে জাতিসংঘ ও পশ্চিমা বিশ্বের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে।
ইরান সব সময়েই বলে এসেছে তারা পরমাণু কর্মসূচী কোন বিধংসী কাজে ব্যবহার করবে না।
তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশ গুলো তা নাকচ করে দিয়ে বলেছে ইরান রাসায়নিক অস্ত্র তৈরির উদ্দেশ্যেই পরমাণু কর্মসূচী সমৃদ্ধ করছে।
আমেরিকা ও ইসরাইলসহ তাদের কিছু পশ্চিমা মিত্র ইরানকে পরমাণু অস্ত্র তৈরির প্রচেষ্টার জন্য অভিযুক্ত করছে। এসব দেশ বলছে, পরমাণু অস্ত্র তৈরির লক্ষ্যে ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে।
কিন্তু তেহরান এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, বিদ্যুৎ উৎপাদনসহ অন্যান্য বেসামরিক কাজে ব্যবহারের লক্ষ্যে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে দেশটি।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৩
কেএইচ/বিএসকে