ঢাকা: আর কিছুক্ষণ পর পৃথিবী থেকে বিদায় নেবেন প্রেমিকা। তা জেনেই তাকে বিয়ে করলেন প্রেমিক।
আর এভাবে সম্ভবত জিনজিং আর লু লাইয়ের বিয়েটি পরিণত হলো পৃথিবীর সবচেয়ে বিয়োগাত্মক ঘটনায়। একই সঙ্গে নিঃস্বার্থ ভালোবাসার খেতাবটিও জুটেছে তাদের।
চীনের দক্ষিণাঞ্চলের অধিবাসী জিংজিং ও তার প্রেমিকা লু লাই। তারা দুজনই গুয়াংডংয়ের স্থানীয় সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তা।
সম্প্রতি একটি সুন্দর বাড়িও কিনেছেন, দুজনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার জন্য পরিকল্পনা করছেন। কিন্তু তাদের মিলনে বাধ সাধলো নিয়তি। ২০১১ সালে হঠাৎ একদিন কাজ করতে করতে অসুস্থ হয়ে পড়েন লাই। সেদিন থেকেই হাসপাতালে লাই, শুধু তাই নয় কোমায় থাকতে হলো তাকে টানা দুই বছর।
সম্প্রতি কোমাতেই উদযাপন করা হয় লাইয়ের ২৮ তম জন্মবার্ষিকী। এরপর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন জিংজিং ও লাই। বিয়ের স্বপ্ন পূরণের পরেই পৃথিবী থেকে বিদায় নেন লাই। নিঃস্বার্থ ভালোবাসার প্রতিদানস্বরূপ স্ত্রীকে যন্ত্রণামুক্ত করতে লাইয়ের লাইফ সার্পোট খুলে দেন জিংজিং।
শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দান করে গেছেন লাই। লাইয়ের স্বামী জিংজিং বলেন, ‘আমি খুশি যে সে অন্য মানুষকে বাঁচতে সাহায্য করবে কিন্তু আমি মনে করি না সে অন্যের মধ্যে বেঁচে থাকবে। সে আমার অন্তরে চিরদিনের জন্য থাকবে। ’
লাইয়ের বাবা ফাং লু বলেন, ‘সে খুবই চমৎকার ও প্রাণচঞ্চল মেয়ে ছিল। আমি ভাবতে পারিনা সে চলে যাচ্ছে কিন্তু সে সব সময়ই বলত সে শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দান করতে প্রস্তুত। ’
বাবা-মার একমাত্র সন্তান ছিলেন লাই।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩১ ঘণ্টা/আপডেটেড: ১৭৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৩
এসএফআই/এমজেডআর