ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

হাজিদের জন্য ৩৪ মিলিয়ন লিটার জমজমের পানি সরবরাহ

সৌদি আরব করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৩
হাজিদের জন্য ৩৪ মিলিয়ন লিটার জমজমের পানি সরবরাহ

রিয়াদ: চলতি হজ মৌসুমে হাজিদের ৩৪ মিলিয়ন (৩৪০ লাখ) লিটার জমজমের পানি সরবরাহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জমজম অফিস।

জমজম অফিসের চেয়ারম্যান সোলাইমান আবু গেলয়া বলেন, জমজমের পানি সরবরাহের জন্য স্থায়ী এবং অস্থায়ীভাবে প্রায় ১ হাজার ১শ’ জন লোক কাজ করছেন।

দশটি গ্রুপ ভিন্ন ভিন্ন স্থানে এই কাজটি সম্পন্ন করবে বলেও জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, গত ৭ সেপ্টেম্বর থেকে হাজিদের বাসা শনাক্তকরণের কাজ চলছে। কত নম্বর হাজি কোন বাসায় থাকেন সেটা চিহ্নিত করে ৭টি দেশের ভাষায় ওই বিল্ডিংগুলোতে বিশেষ স্টিকার লাগানো হবে। এই কাজটি হাজিদের জমজমের পানি পেতে সহায়তা করবে বলে জানান তিনি।

সোলাইমান আরো বলেন, সৌদি হজমন্ত্রী বানদার হাজর ইতিমধ্যে এই কাজটিকে আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দিয়েছেন। তিনটি ধাপে পর্যায়ক্রমে হাজীদের মধ্যে বিতরণ করা হবে জমজমের পানি।

তিনি বলেন, প্রথম দফায় ৩৩০মিলি লিটারের প্লাস্টিকের বোতলে করে জেদ্দা এবং মদিনায় জমজমের পানি সরবরাহ করা হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় হাজিদের বাসার জন্য ২০লিটারের প্লাস্টিকের ড্রামে করে সরবরাহ করা হবে এবং হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে মিনা থেকে ফেরার পর ৩৩০মিলি লিটারের আরেকটি বোতল সরবরাহ করা হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

রুজাইফাতে সয়ংক্রিয় মেশিনে জমজমের পানি রাখার জন্য প্লাস্টিকের বোতল প্রস্তুতের কাজ চলছে।

এই বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে, জেদ্দা কনস্যুলেটের কনসাল (হজ) আসাদুজ্জামান টেলিফোনে বাংলানিউজকে বলেন, এ বছর প্রত্যেক হাজি ১০লিটারের এক বোতল পানি দেশে নিতে পারবেন এবং এই পানি জমজম অফিস কতৃক সরবরাহকৃত হতে হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হাজিরা নিজ উদ্যোগে জমজমের পানি সংগ্রহ করলে সেই পানি এয়ারলাইন্স গ্রহণ করবে না।

অপর প্রশ্নের জবাবে হজ কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, এবারই বিমান সংস্থাগুলোর দাবি ছিলো যাতে প্রত্যেক হাজিকে দেশে নেওয়ার জন্য ৫ লিটারের বোতল সরবরাহ করে। কিন্তু জমজম অফিসে ৫ লিটারের বোতল প্রর্যাপ্ত পরিমাণে প্রস্তুত না থাকায় এ বছর ১০লিটার দেওয়া হচ্ছে। আগামী বছর প্রত্যেক হাজিকে ৫ লিটার করে পানি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি কতৃপক্ষ যোগ করেন কনসাল (হজ)।

এদিকে প্রথম দিনের ফ্লাইটে আসা বাংলাদেশি হাজিরা মদিনা জিয়ারত শেষে শুক্রবার মক্কায় পত্যাবর্তন করেছে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছে মক্কা হজ মিশন সূত্র।

উল্লখ্য, এবছর সরকারি এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় মোট ৯০ হাজার ২ জন (গাইডসহ) বাংলাদেশি হজ পালন করবেন। বৃহস্প্রতিবার (১৯ সেপ্টম্বর) পর্যন্ত ৯৬টি ফ্লাইটের মাধ্যমে ৩৬ হাজার ৫শ’ ২৬ জন (গাইডসহ) বাংলাদেশি মক্কায় পৌঁছেছেন।   যার মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ হাজার ৫শ’ ৫৩ জন বেসরকারি ৩৪ হাজার ৯শ‘ ৭৩জন।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর২১, ২০১২
এমএএ/এমজেএফ/আরকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।