ঢাকা: প্রথমবারের মতো আধা স্বায়ত্তশাসিত কাউন্সিল নির্বাচনে ভোট দিচ্ছে শ্রীলংকার সংখ্যালঘু তামিল সম্প্রদায়। শনিবার শুরু হওয়া এ ভোটগ্রহণের মাধ্যমে তামিলরা তাদের অনেক দিনের চাওয়া ‘স্ব-শাসনের’ সুযোগ পাবে।
সেনাবাহিনী তামিল বিদ্রোহীদের পরাজিত করার চার বছর পর এ ঐতিহাসিক ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
তামিল সম্প্রদায় অধ্যুষিত শ্রীলংকার উত্তরাঞ্চলের কখনওই নিজেদের কাউন্সিল ছিল না।
দেশটির জাফফানা ভোটকেন্দ্র থেকে বিবিসির সংবাদদাতা চার্লস হাভুল্যান্ড জানিয়েছেন, ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার আগে থেকেই সব বয়সের ভোটার অধীর আগ্রহে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তবে ভোটগ্রহণে সেনাবাহিনীর ভীতিপ্রদর্শনের অভিযোগ থাকলেও কর্তৃপক্ষ তা অস্বীকার করেছে।
একজন বিদেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষক জানিয়েছেন, সাধারণ মানুষ ভোট দিতে আগ্রহী কিন্তু তারা নিরাপত্তার ব্যাপারে একটু বিচলিত।
ভোট প্রদানের পর ভোটারদের নখে বিশেষ কালি দিয়ে চিহ্নিত করে দেওয়া হচ্ছে। ভোট দিতে আসা এক বৃদ্ধা বলেন, ‘আমরা তামিলদের ব্যাপারে একটি নির্দিষ্ট বন্দোবস্ত চাই। এজন্যই আমরা ভোট দিতে এসেছি। আমরা অনেকদিন ধরে অপেক্ষা করে আছি, এখন আমরা শান্তি চাই। ’
ভোটে অবৈধ উপায় অবলম্বনের অভিযোগও উঠেছে। তামিল ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স বিরোধী প্রার্থী আনান্থি সাসিথারান জানিয়েছেন, তার বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছিল। দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করার জন্য খুঁজেছে। যদিও তিনি অক্ষত অবস্থায় বাড়ি থেকে বের হন কিন্তু সশস্ত্র বাহিনী তার বাড়ি ঘিরে রেখেছিল।
অবসরপ্রাপ্ত বিচারক কে উইনেস্বারান আশা করছেন তিনি এ অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হবেন। তিনি জানিয়েছেন, তিনি তামিলদের ‘স্ব-শাসনের’ ব্যাপারে তার দলের ইশতেহার অনুযায়ী সরকারের সাথে কাজ করবেন।
জাতিগত পুনর্মিত্রতার জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের পক্ষ থেকে এ নির্বাচনকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। গত চার দশকে তামিল সংঘাতে ১ লাখেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আশা করা হচ্ছে এ ভোটগ্রহণ সব বিভেদ ঘুচিয়ে অঞ্চলটিতে শান্তি বয়ে আনবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৩
কেএইচকিউ/এমজেডআর