ঢাকা: সিরিয়া সরকারের জমা দেওয়া রাসায়নিক অস্ত্রের তথ্য-উপাত্ত পরীক্ষা করা শুরু করেছেন জাতিসংঘ ও রাসায়নিক নিরস্ত্রীকরণ সংস্থা ওপিসিডব্লিউ’র পর্যবেক্ষকরা।
শনিবার আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বাশার আল-আসাদ সরকারের জমা দেওয়া রাসায়নিক অস্ত্র সংক্রান্ত তথ্যগুলোর সত্যতা নিরীক্ষা করছেন পর্যবেক্ষকরা।
নেদারল্যান্ডের হেগভিত্তিক সংস্থা ওপিসিডব্লিউর একজন মুখপাত্র বলেন, আমরা আশা করি সিরিয়া আরও বেশি তথ্য দেবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে।
ধারণা করা হয়, সিরিয়ার কাছে প্রায় এক হাজার টন বিষাক্ত টক্সিন গ্যাস রয়েছে।
এর আগে, রাসায়নিক অস্ত্র সংক্রান্ত তথ্য জমা দেওয়ার জন্য শনিবার পর্যন্ত সময় বেধে দেওয়া হলে শুক্রবার রাত থেকেই তথ্য প্রদান প্রক্রিয়া শুরু করে আসাদ সরকার।
ওপিসিডব্লিউ’র মুখপাত্র মাইকেল লুহান জানান, প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে এই উপাত্ত জমা দিচ্ছে সিরিয়া। এখন এই উপাত্তগুলো সংগঠনটির প্রকৌশল পরিষদের সদস্যরা নিরীক্ষা করছেন। তবে উপাত্তে কী বিষয়ে বিবরণ দেওয়া হয়েছে এ ব্যাপারে কিছু বলতে চাননি তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাতিসংঘের একজন কূটনীতিকও উপাত্ত জমা দেওয়ার বিষয়টি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, আসাদ সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংসের লক্ষ্যে স্বাক্ষরিত যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার চুক্তির দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছে চীন।
চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং জি বলেন, সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংসের প্রক্রিয়ার দ্রুততর আরম্ভকে স্বাগত জানাবে বেইজিং। এছাড়া, জেনেভায় অবিলম্বে একটি শান্তি সম্মেলন ডাকারও প্রস্তাব করেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, গত শনিবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় সম্পাদিত মার্কিন-রুশ চুক্তিতে সিরিয়াকে রাসায়নিক অস্ত্রের তথ্য জমা দেওয়ার জন্য শনিবার পর্যন্ত সময় বেধে দেওয়া হয়।
গত ২১ আগস্ট রাসায়নিক অস্ত্র হামলায় কয়েকশ’ লোক নিহত হওয়ার ঘটনায় আসাদবাহিনীকে অপরাধী সাব্যস্ত করে গত মাসে সামরিক অভিযানের হুমকি দেয় যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্র দেশগুলো।
তবে রাসায়নিক অস্ত্র হামলায় সিরিয়া জড়িত নয় বলে রাশিয়া ও চীনের জোরালো বিরোধিতার মুখে পিছু হটে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সসহ পশ্চিমা দেশগুলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৩
এইচএ/বিএসকে