ঢাকা: সুপার টাইফুন উসাগির প্রভাবে শনিবার ফিলিপাইন ও তাইওয়ানে মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পাশাপাশি শক্তিশালী ঝড়ে অনেক গাছ উপড়ে গেছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শনিবার উসাগি উত্তর ফিলিপাইনে বাতানিজ দ্বীপে ঘণ্টায় ২’শ ৫০ কিমি বেগে আঘাত হানে। এর ফলে যোগাযোগের তার বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, ক্ষতিগ্রস্ত হয় ফসলাদি।
বাতানিজের গভর্ণর ভিসেন্টো গাটো দেশটির একটি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘শক্তিশালী ঝড়ে অনেক গাছ উপড়ে গেছ। আমাদের এখানে বিদ্যুৎ নেই। ’
জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে। এখন পর্যন্ত কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে ত্রাণ সেবা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, তারা আসন্ন ক্ষয়ক্ষতির জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। তারা আশঙ্কা করছে এর মধ্যেই উত্তর প্রদেশে ১’শর বেশি পরিবার গৃহহীন হয়েছে।
এদিকে উসাগির কারণে তাইওয়ানে বিমানের ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে, ফেরি সার্ভিসও স্থগিত করা হয়েছে। তাইওয়ানের পূর্ব ও দক্ষিণে শিক্ষাসহ অন্যান্য কর্মপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে তারা ঝড় মোকাবেলায় প্রস্তুত হচ্ছে।
বন্যার ভয়ে পাহাড়ি অঞ্চলের হোটেল ও রিসোর্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে ১৬’শর বেশি সেনা সদস্য পাঠিয়েছে। আরও প্রায় ২৪ হাজার সেনা সদস্য প্রস্তুত রয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইতিমধ্যে ২৫’শ মানুষ গৃহহীন হয়েছে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া ব্যুরো ১.২ মিটার বৃষ্টিপাতের আশঙ্কায় সতর্কবার্তা জানিয়েছে।
ফিলিপাইন ও তাইওয়ানের লুজন প্রণালী ঘেঁষে শনিবার সকালেও গর্জন করেছে উসাগি। এ টাইফুন চীনের দক্ষিণ উপকূলের দিকে আগাচ্ছে। শুক্রবার সকালে এটি তাইওয়ানের ৫’শ ৬০ কিমি পূর্ব-দক্ষিণপূর্ব ও ফিলিপাইনের ৩’শ ৬০ কিমি উত্তরে অবস্থান করছিল।
হংকংয়ে এ নিয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সম্ভাব্য শক্তিশালী ঝড় ও বন্যার আশঙ্কায় প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যেহেতু উসাগি উত্তরপশ্চিমে ঘুরে গেছে তাই এটি গুয়ানডং, জেজিয়াং ও ফুজিয়ান প্রদেশে আঘাত হানতে পারে ।
২০০৯ সালের আগস্টে তাইওয়ানে একটি শক্তিশালী টাইফুনে ৬’শর বেশি মানুষ প্রাণ হারায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৩
কেএইচকিউ/বিএসকে