ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

জার্মানির নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৩
জার্মানির নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে

ঢাকা: রোববার স্থানীয় সময় সকাল আটটা (বাংলাদেশ সময় দুপুর বারটা) থেকে জার্মানির পার্লামেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।

দেশটির নির্বাচন কমিশন সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো এ খবর জানিয়েছে।



সর্বশেষ সমীক্ষা অনুযায়ী, এবারের নির্বাচনেও তৃতীয়বারের মতো জয়লাভ করতে চলেছে বর্তমান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেলের নেতৃত্বাধীন ক্রিস্টিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন (সিডিউ)। তবে সিডিউ জোটের শরিক দল ফ্রি ডেমোক্রেটসের (এফডি) জনপ্রিয়তায় কিছুটা ধস নামায় নতুন করে হিসেব করতে হচ্ছে বিশ্লেষকদের।

সমীক্ষা বলছে, আগের চেয়ে এফডির জনপ্রিয়তা কিছুটা কমে গেছে। এক্ষেত্রে যদি ৫ শতাংশ ভোট পেয়ে পার্লামেন্টে প্রবেশের সুযোগ পেতে এফডি ব্যর্থ হয় তবে ম্যার্কেলের দলকে নতুন জোটও খোঁজা লাগতে পারে। সেক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্দ্বী পিয়ার স্টাইনব্রুকের নেতৃত্বাধীন পিয়ার সোশ্যাল ডেমোক্রেটসের (এসডিপি) সঙ্গেও জোট বাঁধতে হতে পারে সিডিউকে। এসব কারণে, এবারের নির্বাচনকে ঘিরে বেশ নতুন করেই সমীকরণে বসেছেন বিশ্লেষকরা।

তবে নির্বাচনের আগেরদিন শনিবারেও জোর প্রচারণা চালিয়েছেন চ্যান্সেলর ম্যার্কেল ও তার প্রতিদ্বন্দ্বী স্টাইনব্রুক। প্রচারণা চালিয়েছেন অন্য ছোটদগুলোর প্রার্থীরাও।

জার্মানির সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সিডিউ সরকারের গৃহীত নীতি বাস্তবায়ন করতে ২০১৭ সাল পর্যন্ত দলটিকে শাসন ক্ষমতায় রাখার জন্য ভোট চান ম্যার্কেল।

এছাড়া চাকরি বৃদ্ধির পাশাপাশি ম্যার্কেল তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে বলেন, ইউরো অধিক স্থিতিশীল থাকবে এবং আমাদের ঋণের বোঝা কমে যাবে। এটাই আমার লক্ষ্য এবং এজন্যই আমি আপনাদের সমর্থন চাই।

অন্যদিকে, ম্যার্কেল যেন টানা তৃতীয় বারের মতো জার্মানির শাসন ক্ষমতায় আসতে না পারেন সেজন্য জোরেশোরে প্রচারণা চালিয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বী স্টাইনব্রুকও।

নিজের নির্বাচনী প্রচারণায় ম্যার্কেল সরকারের কড়া সমালোচনার পাশাপাশি স্টাইনব্রুক বলেন, সিডিউ সরকার দেশের প্রধান চ্যালেঞ্জগুলো এড়িয়ে গেছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, সিডিইউ বা এসডিপি’র চেয়ে ঐতিহ্যগতভাবে এফডি অধিকতর উদার। অর্থনৈতিক নীতি নিয়ে সিডিউ জোটের শরিক দলটির সঙ্গে মতভেদ লক্ষণীয়।

নির্বাচনে প্রত্যাশিতভাবে খারাপ করলে সিডিইউকে অন্য ছোট ছোট দলগুলোর সঙ্গে জোটবদ্ধ হতে হবে যার ফলে নড়বড়ে জোট সরকার গঠিত হবে। এজন্য জোট সরকারকে শক্তিশালী করতে এসডিপির দ্বারস্থ হতে হবে সিডিউকে।

সর্বশেষ লন্ডনভিত্তিক পর্যবেক্ষক সাইট @electionista এর জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, সিডিইউ পেতে পারে ৩৮.৬ শতাংশ, এসডিপি পেতে পারে ২৫.৮ শতাংশ এবং এফডি পেতে পারে ৬. ৪ শতাংশ ভোট। তবে ইউরো প্রসঙ্গ ও অর্থনৈতিক টালমাটালের প্রভাবে ভোটের ফলাফলে যদি নতুন কোনো চমক আসে তবে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

বাংলাদেশ সময়: ১২০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৩
এইচএ/বিএসকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।