ঢাকা: পর্যবেক্ষকদের পূর্বাভাস আর জনমতের জরিপের ফল অনুসারেই তৃতীয় বারের মতো জার্মানির নির্বাচনে জয়ী হলো রক্ষণশীল ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন (সিডিউ)। সে হিসেবে টানা তৃতীয় দফায় ইউরোপের শক্তিশালী অর্থনীতির দেশটির সরকার প্রধান (চ্যান্সেলর) হচ্ছেন সিডিউ নেতা অ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেল।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, জার্মান রাজনীতির ইতিহাসে ম্যার্কেলই কোনো নারী যিনি টানা তিন দফায় দেশটির চ্যান্সেলর হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করলেন।
দেশটির নির্বাচন কমিশনের তথ্য মতে, জার্মানির ১৮তম বুন্দেস্তাগ (পার্লামেন্ট) নির্বাচনে ম্যার্কেলের সিডিউ পেয়েছে ৪১ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট। অপর দিকে সিডিউ’র প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী পিয়ার স্ট্রাইনব্রুকের নেতৃত্বাধীন সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক (এসডিপি) পেয়েছে ২৫ দশমিক ৭ শতাংশ ভোট। দ্বিতীয় সারির দলগুলোর মধ্যে বামপন্থি লেফট পার্টি (এলপি) পেয়েছে ৮ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট, আর পরিবেশবাদী গ্রিন পার্টি (জিপি) পেয়েছে ৮ দশমিক ৪ শতাংশ।
তবে সিডিউ’র জোট শরিক ফ্রি ডেমোক্রেটিক (এফডি) মাত্র ৪ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পাওয়ায় ম্যার্কেলের দলকে সরকার গঠনে নতুন শরিক খুঁজতে হবে। এক্ষেত্রে সিডিউর নেতৃত্বাধীরন সরকার গঠনের জন্য প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী এসডিপি ও জিপিকে শরিক হিসেবে ভাবা হচ্ছে বলে জানা গেছে। এছাড়া, নির্বাচনের আগে প্রচারণা চালিয়ে সাড়া জাগানো অলটারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি) ৪ দশমিক ৭ শতাংশ ভোট পাওয়ায় তারাও পার্লামেন্টে প্রতিনিধিত্ব করতে পারছে না।
নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ফলাফল ঘোষিত হওয়ার কয়েকঘণ্টা পর সিডিউর বার্লিন সদরদপ্তরে বিজয় ভাষণ দিয়েছেন অ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেল।
বিজয় ভাষণে ম্যার্কেল বলেন, জার্মানিকে সফল রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য আগামী চার বছরে সাধ্যের মধ্যে আমরা সবকিছু করবো। এছাড়া, সরকার গঠনে নতুন শরিক দল খোঁজার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে সম্প্রতি চরম অর্থনৈতিক মন্দা দেখা গেলেও জার্মানির মুক্তবাজার অর্থনীতিকে সুকৌশলে নিয়ন্ত্রণে রাখেন ম্যার্কেল। সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংস্কারের পাশাপাশি ঠাণ্ডা মাথায় পরিস্থিতি সামলানোর জন্য ম্যার্কেল দেশটিতে ব্যাপক জনপ্রিয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৩
এইচএ/বিএসকে