ঢাকা: চীনের দক্ষিণাঞ্চলী প্রদেশ গুয়াংডংয়ে টাইফুন উসাগির আঘাতে অন্তত ২৫ জন নিহত হয়েছে।
দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো সোমবার সকালে জানিয়েছে, টাইফুনটি আঘাত হানার সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টা ১৮০ কিলোমিটারের মতো।
তীব্র ঝড়ে কিছু কিছু এলাকার গাছ-পালা উপড়ে যায় এবং সড়কে পার্কিংয়ে থাকা গাড়িগুলো ছিটকে যায়। বৈদ্যুতিক সংযোগ টাওয়ার ও মোবাইল টাওয়ারগুলো সড়কের ওপর উপড়ে পড়ায় বেশকিছু এলাকা দৃশ্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। এই টাইফুনটি আঘাত হানার কারণে চীনের মূল ভূখণ্ডের প্রায় ৩৫ লাখ লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
প্রশাসনিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, টাইফুনের কারণে, গোয়াংজু থেকে বেইজিংগামী ট্রেনের সকল শিডিউল অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা করা হয়েছে। এছাড়া গোয়াংজু, শেনঝেন ও হংকং বিমাবন্দরের নির্ধারিত কয়েকশ’ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
আবহাওয়া দপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এটি এখন দুর্বল থেকে দুর্বল হয়ে দক্ষিণ চীনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। তাই হংকং কিছুটা টাইফুনের ধ্বংসযজ্ঞ থেকে বেঁচে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তারপরও সোমবার সকালে হংকংয়ের সকল অর্থনৈতিক মার্কেট বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
দেশটির সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ফুজিয়ান প্রদেশের প্রায় ৮০ হাজার নাগরিককে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া টাইফুন উপদ্রুত অঞ্চলে অর্ধ লাখেরও বেশি উদ্ধারকর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
শানবেই প্রদেশের একটি পেট্রল স্টেশনের কর্মকর্তা ল্যু হাইলিং বলেন, ‘আমার যতদূর মনে পড়ে, এটাই সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন। অনেক ভয়ংকর টাইফুন এটা। ভাগ্য ভালো আমরা টাইফুন মোকাবেলায় প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৩
এইচএ/বিএসকে