ঢাকা: মিশরের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুডের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ ও সম্পদ জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির এক আদালত। একই সঙ্গে ব্রাদারহুডের অঙ্গ সংগঠনগুলোর কার্যক্রমও নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ওই আদালত।
সোমবার কায়রোর প্রশাসনিক আদালত ঘোষণা দেয়, কার্যক্রম নিষিদ্ধের এ রুল ইসলামি সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুড, তার বেসরকারি শাখা সংগঠন এবং এর থেকে জন্ম নেওয়া যেকোনো সংগঠনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
আদালত দেশের অন্তবর্তী সরকারকে ব্রাদারহুডের তহবিল জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছে। এ রুলের বিরুদ্ধে আপিল না হওয়া পর্যন্ত সম্পদ জব্দ করতে একটি প্রশাসনিক কমিটি গঠন করতেও সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৩ জুলাই মিশরের প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর সেনা সমর্থিত অন্তর্বর্তী সরকার মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে দমনপীড়ন চালাচ্ছে। সংগঠনটির কয়েক ডজন গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে সংগঠনের প্রধান মোহাম্মদ বদিও রয়েছেন।
মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুতের পর তার সমর্থকরা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে রাস্তায় নামেন। তারা মুরসিকে পুনবর্হালের দাবিতে ব্যাপক আন্দোলন শুরু করেন। সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে মুরসিপন্থিদের কয়েক দফা সংঘর্ষে কয়েক শত মিসরীয় নিহত হয়েছেন।
৮৫ বছরের পুরোনো এ ইসলামি সংগঠনটি ১৯৫৪ সালে নিষিদ্ধ করে তৎকালীন সামরিক শাসকরা। কিন্তু হোসনি মোবারকের পতনের পর মোহাম্মদ মুরসি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে চলতি বছরের মার্চে বেসরকারি সংস্থা হিসেবে নিবন্ধন করে মুসলিম ব্রাদারহুড।
ব্রাদারহুডের নিবন্ধিত রাজনৈতিক শাখা ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস পার্টি থেকে ২০১২ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন মোহাম্মদ মুরসি।
দেশকে ইসলামিকরণের অভিযোগ এনে চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে মুরসির বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে উদার ও বামপন্থিসহ পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ট রাজনৈতিক নেতারা। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তিনি এখন সেনাদের হাতে আটক রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৩
এসএফআই/জেসিকে