ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

আলোচনায় প্রস্তুত ইরান বললেন রুহানি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৩
আলোচনায় প্রস্তুত ইরান বললেন রুহানি

ঢাকা: পারমাণবিক কর্মসূচির ব্যাপারে ‘নির্দিষ্ট সময়ে ফলাফল প্রত্যাশী’ আলোচনায় বসতে প্রস্তুত ইরান। বললেন দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি।

নিউইয়র্কে জাতিসংঘ অধিবেশনের বার্ষিক সভায় এ কথা বলেন তিনি। এ সময় তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ইরান নিষেধাজ্ঞার সমালোচনাও করে।

অধিবেশনে তিনি সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র চুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে, একই সাথে দেশটিতে রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগের নিন্দা জানান।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছিলেন, ‘তিনি রুহানির সংযত কর্মসূচি নিয়ে উৎসাহী। ’ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে মঙ্গলবার দেওয়া ভাষণে ওবামা বলেন, ‘ইরানের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড তার পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ‘অর্থপূর্ণ চুক্তি’র ভিত্তি তৈরি করে দিয়েছে। পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে দেশটির সঙ্গে চুক্তিতে পৌঁছে যেতে বিদেশ নীতিতে গুরুত্ব দেওয়া হবে এবং জোর চেষ্টা চালানো হবে। ’

রুহানি এ বছরের শুরুর দিকে ইরানের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে উন্মুক্ত কর্মসূচির অঙ্গীকার করেন।

ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিষেধাজ্ঞায় রয়েছে। এ ব্যাপারে তেহরান বলছে, ‘ইরান শান্তিপূর্ণ কাজে ব্যবহার করার জন্য ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ হচ্ছে কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলসহ তার জোটসঙ্গীরা ইরানে পারমাণবিক অস্ত্রের মজুদ গড়ে ওঠার ব্যাপারে সন্দেহ করছে। ’

রুহানি বলেন, ‘পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যাপারে ইরানের হুমকি একটি কল্পিত ধারণা। অবশ্যই ইরান বিশ্ব বা এর কোন অঞ্চলের জন্য হুমকিস্বরূপ নয়। ’

তিনি বলেন, ‘পারস্পরিক সমঝোতা বৃদ্ধিতে ও এর মাধ্যমে স্বচ্ছতার সাথে সকল অনিশ্চয়তা দূর করতে নির্দিষ্ট সময়ে ফলাফল প্রত্যাশী বৈঠকে প্রস্তুত ইরান। ’

সাদ্দাম হোসেন ক্ষমতায় থাকাকালীন ইরাকে শাস্তিমূলক হামলার তুলনা করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ইরান নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করেন তিনি।

এর আগে ওয়াশিংটন নিষেধাজ্ঞা আরোপ, নানা হুমকি-ধামকি শুনিয়েছিল তেহরানকে। কিন্তু নতুন প্রেসিডেন্ট রুহানি দায়িত্ব নেওয়ার পর কঠোর অবস্থান থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দেয় ওয়াশিংটন। ইরানও পরমাণু ইস্যু নিয়ে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেয়।

পরমাণু ইস্যু নিয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট ও মার্কিন প্রেসিডেন্টের মধ্যে সম্প্রতি চিঠি চালাচালিও হয়েছে। এরই মধ্যে তেহরানের সঙ্গে সমঝোতার বিষয়টির দায়িত্বভার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরিকে দিয়েছেন ওবামা।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৩
কেএইচকিউ/বিএসকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।