ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

কয়েক মাসের মধ্যেই পরমাণু চুক্তি করতে চায় ইরান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৩
কয়েক মাসের মধ্যেই পরমাণু চুক্তি করতে চায় ইরান

ঢাকা: পারমাণবিক কর্মসূচি বিষয়ে তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে বিশ্বশক্তির সাথে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে চায় ইরান। বললেন দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি।

 

ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক সহজ করতে তিনি পরমাণু ইস্যুকেই ‘শুরুর মুহূর্ত’ হিসেবে দেখছেন বলে জানালেন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টকে।

তিনি জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে একটি সমঝোতায় আসার জন্য তিনি দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির অনুমোদনও পেয়েছেন।

ইরানের পক্ষ থেকে বিশ্বশক্তির সাথে পারমাণবিক মধ্যস্ততাকারী হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভাদ জারিফ। এ ব্যাপারে আলোচনার জন্য তিনি নিউইয়র্কে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির সাথে সাক্ষাৎ করবেন। একই বিষয়ে তিনি বাকী অন্য বিশ্বশক্তি যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া, চীন ও জার্মানির কূটনৈতিকদের সাথেও দেখা করবেন।  

জাতিসংঘ অধিবেশনের জন্য নিউইয়র্কে রয়েছেন রুহানি। এ সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যগুলোকে সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন।

তবে ইরানের সংবাদ মাধ্যমগুলো অভিযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম সিএনএন রুহানির পারমাণবিক ধ্বংসযজ্ঞ বিষয়ক মন্তব্যকে বিকৃত করেছে।

ওয়াশিংটন পোস্টকে রুহানি জানিয়েছেন, এত বছর ধরে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে বৈরিভাব থাকলেও তিনি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা যদি একসাথে হতে পারেন তবে তারা ভবিষ্যতের দিকে তাকাতে পারবেন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের একটি ‘শুরুর মুহূর্ত’ দরকার। পারমাণু চুক্তি দিয়েই সেটা শুরু হতে পারে। ’

২০০৬ সাল থেকেই ইরান পারমাণবিক কর্মসূচি বিষয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য ও জার্মানির সাথে সমঝোতা করে আসছে। ইরান পারমাণবিক অস্ত্রে সমৃদ্ধ হতে চেষ্টা করছে বলে সন্দেহ করছে পশ্চিমা সম্প্রদায়। যদিও ইরান তাদের এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছে।

এর আগে ওয়াশিংটন নিষেধাজ্ঞা আরোপ, নানা হুমকি-ধামকি শুনিয়েছিল তেহরানকে। কিন্তু নতুন প্রেসিডেন্ট রুহানি দায়িত্ব নেওয়ার পর কঠোর অবস্থান থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দেয় তারা। ইরানও পরমাণু ইস্যু নিয়ে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেয়। পরমাণু ইস্যু নিয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট ও মার্কিন প্রেসিডেন্টের মধ্যে সম্প্রতি চিঠি চালাচালিও হয়েছে।

রুহানি এ বছরের শুরুর দিকে ইরানের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে উন্মুক্ত কর্মসূচির অঙ্গীকার করেন। এর আগে ওবামা বলেছিলেন, ‘তিনি রুহানির সংযত কর্মসূচি নিয়ে উৎসাহী। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৩
কেএইচকিউ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।