কলকাতা: আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর ভারত ও পাকিস্তানের প্রধান মন্ত্রীদের বৈঠকের ঠিক আগে পরপর দুটি জঙ্গি হামলায় রক্তাক্ত হোল ভূ-স্ব র্গ কাশ্মীর।
জম্মুতে বিপুল পরিমাণ ভারি অস্ত্রে সজ্জিত এক দল জঙ্গি বৃহস্পতিবার সকালে থানায় আক্রমণ করে।
এর ফলে ১২ জন ঘটনা স্থলেই নিহত হয়েছেন বলে এখন পর্যন্ত খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে একজন সেনাবাহিনীর অফিসার বলে জানা গেছে।
জঙ্গিরা একটি অটোরিকশাতে চেপে কাঠুয়া জেলার হিরা নগর পুলিশ চৌকিতে হাজির হয়। এটি আন্তর্জাতিক সীমানা থেকে মাত্র ৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
জঙ্গিরা থানায় গ্রেনেড এবং স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ চালায়। সঙ্গে সঙ্গেই ৪ জন পুলিশ কর্মী মারা যান। পাসের একটি দোকানের মালিকও এই হামলার শিকার হয়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান।
এখন পাওয়া খবর অনুযায়ী অন্তত ৪ জনকে গ্রেনেড এবং গুলির আঘাতের ফলে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
এই হামলার পরেই জঙ্গিরা একজন ট্রাক চালককে গুলি করে হত্যা করে এবং তার ট্রাকটি নিয়ে ওই স্থান থেকে পালিয়ে যায় বলে খবর পাওয়া গেছে।
পালিয়ে যাবার সময় জঙ্গি দলটি পাঠান কোট –জম্মু সড়কে সামবা শহরে টহলরত ভারতীয় সেনার একটি দলের ওপর গুলি চালায় বলে খবর পাওয়া গেছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জম্মু থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে সাম্বা সেতুর কাছে ভারতীয় সেনাদের সঙ্গে জঙ্গিদের তুমুল গুলির লড়াই চলছে।
জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা জানিয়েছেন এই ঘটানা ন্যাক্কারজনক।
কিন্তু এর ফলে যদি ভারত-পাক শান্তি আলোচনা পিছিয়ে দেওয়া হয় তবে তা এই ঘটনায় মৃত মানুষদের প্রতি অপমান করা হবে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী সুশীল কুমার শিন্ডে ঘটনার কথা স্বীকার করে জানিয়েছেন,সরকার আরও অনুসন্ধান করেছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬ , ২০১৩
বিএস/এমআইপি/আরআইএস