দিল্লি থেকে: পরিবেশ দূষণ থেকে ধরিত্রীকে বাঁচাতে গুরুত্ব দেওয়া হলো অনলাইনের ওপর। বক্তারা জোর দিয়ে বললেন, অনেকের তো গাড়ির তেল পুড়িয়ে পরিবেশের ক্ষতি করে অফিসে না গেলেও চলে।
যাদের অফিস না গেলে চলে, তারা তো ঘরে ইন্টানেটের মাধ্যমে কাজ সেরে নিতে পারেন। তাহলে যেমন সময় বাঁচবে- তেমনি পরিবেশও দূষণ হবে না।
অনলাইনের পাশাপাশি জোর দেওয়া হয় হেঁটে, বাইসাইকেল ও কিংবা রিকশায় করে গন্তব্যস্থলে যাওয়ার ওপর । বলা হয়, দূরপাল্লার জন্য মোটরগাড়ি ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে কোনোভাবেই প্রাইভেট কার নয়। কেন না প্রাইভেট কার কেবলমাত্র দুই একজন লোক ব্যবহার করেন। এতে পরিবেশ দূষণ ছাড়াও সৃষ্টি হয় যানজট।
বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লির লোদি রোডের ইন্ডিয়া হ্যাবিটেট সেন্টারের জাকারেন্ডা হলে ‘সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট- সিএসই’ আয়োজিত ‘কনক্লেভ অফ চেন্জ মেকারস ফর ক্লিন এয়ার অ্যান্ড সাসটেইনেবল মবিলিটি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এ সব কথা বলেন।
সকাল থেকে রাত অবধি সেমিনারে মূল বক্তব্য উপস্থাপন ও অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন যথাক্রমে সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট-এর ডিরেক্টর জেনারেল সুনীতা নারায়ণ এবং পলিসি ও রিসার্চ ডিরেক্টর অনুমিতা রায়চৌধুরী।
বাংলাদেশ ও ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার ৮টি দেশ থেকে ২৫ জন সাংবাদিক এতে অংশ নেন। এছাড়া ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে পরিবেশ সংক্রান্ত সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত সংস্থার ৫০ জন অংশগ্রহণকারী সেমিনারের ৬টি সেশনে অংশ নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১২১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৩
আরআই/এমজেডআর