জায়গাটি ইউক্রেনের ক্লেভ্যান শহরের কাছাকাছি। প্রকৃতি মানুষকে যে কত বিস্ময়কর সৌন্দর্য উপহার দিতে পারে তার আরেকটি উদাহরণ ‘ভালোবাসার টানেল’।
যতদূর চোখ যায় মনে হয় আপনাকে অভ্যর্থনা জানাতে আন্তরিকতা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে গাছগুলো। এই অসাধারণ টানেলের মধ্য দিয়ে আবার রয়েছে একটি ট্রেন লাইন। তবে মানুষ যাতায়াত করে না। শুধু একটি ফ্যাক্টরিতে মালামাল বহনের জন্য নির্মিত হয় এ ট্রেন লাইন। যদিও ট্রেন চলাচল না করলে বোঝা যায় না এখানে ট্রেন লাইন রয়েছে। কারণ পথটিও সবুজে ঢাকা।
এবার আসি ভালোবাসার কাছে। সময়টা মে থেকে অক্টোবর। যখন ফ্লোরা ফুল ফোটে তখন টানেলটার সৌন্দর্যে অভিভূত হয়ে হৃদস্পন্দন বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। এ ভাষ্য সেখানে যাওয়া প্রেমিক-প্রেমিকাদের। আর এই সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে অসাধারণ রোম্যান্টিক আবহাওয়া তৈরি হওয়ায় স্থানীয়রা এর নাম দেয় ‘টানেল অব লাভ’।
ক্রমে এই ভালোবাসার সুড়ঙ্গ রূপান্তরিত হয়েছে ভালোবাসার পরীক্ষাগারে। কারণ এখানে মনের মানুষ নিয়ে আসা প্রত্যেকেই বিশ্বাস করেন এবং মানেন যে তাদের ভালোবাসা যদি নির্মল, সুন্দর, বিশ্বস্ত, আন্তরিক হয় তবে এই টানেলের মধ্যে এসে প্রার্থনা করলে বা কিছু চাইলে সেটা পূরণ হবে।
এটাও বলা হয়, যদি আপনার ভালোবাসা সত্য হয়ে থাকে তবে প্রেমিকার হাত ধরে হেঁটে পাড়ি দিন। তাতে মনোবাসা পূর্ণ হবে।
প্রতিবছর অসংখ্য পর্যটক ইউক্রেন এবং পোল্যান্ড থেকে আসেন তাদের মনোবাসনা পূরণের স্বপ্ন নিয়ে। তবে গ্রীষ্ম ও শীতে এর রূপ আবার ভিন্ন। সেটিও অদ্ভুত। গ্রীষ্মে গাছগুলোতে পাতা থাকে না। আর শীতে জমে থাকে বরফ।
বাংলাদেশ সময়: ০২৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৩
এএ/আরকে