ঢাকা: মিশরে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মুরসির সমর্থক ও দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে নতুন করে সহিংসতায় অন্তত ৫১ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে কয়েকশ’ জন।
হতাহতের সংখ্যা নিয়ে দেশটির সেনাসমর্থিত রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো কোনো তথ্য না দিলেও মুরসির দল মুসলিম ব্রাদারহুডের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে তাদের ৫১ জনেরও বেশি সমর্থক নিহত হয়েছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, রোববার সকাল থেকে শুরু হয়ে রাত পর্যন্ত সহিংসতায় এ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া, রাজধানী কায়রো থেকে ব্রাদারহুডের দুই শতাধিক কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যেও অনেকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
রোববার ১৯৭৩ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের ৪০তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে কায়রোসহ দেশের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ করে মুরসি সমর্থকরা।
অন্যদিকে, সেনাসমর্থিত প্রশাসনের সহযোগিতায় কায়রোর ঐতিহাসিক তাহরির স্কয়ারে যুদ্ধের বার্ষিকী উদযাপনের ডাক দেয় মুরসিবিরোধীরা।
তাহরির স্কয়ারের এই সমাবেশে বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসিকে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানায় মুরসিবিরোধীরা।
কায়রোয় নিযুক্ত বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা জানিয়েছে, কায়রোর বিভিন্ন স্পট থেকে মিছিল বের করে তাহরির স্কয়ার দখলের চেষ্টা করে ব্রাদারহুড সমর্থকরা। ব্রাদারহুডের বিক্ষোভ মিছিল থেকে জেনারেল সিসিকে ‘খুনি’ বলে আখ্যা দেওয়া হয়।
দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, মুরসি সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করতে কেবল টিয়ারগ্যাস ও ফাঁকা গুলি ছুঁড়েছে নিরাপত্তা বাহিনী।
তবে হাসপাতালের প্রাথমিক চিকিৎসাকর্মী আবদেল রহমান আল-তানতাবি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, আমি দেখেছি পুলিশ ও সেনাবাহিনী মুরসি সমর্থকদের লক্ষ্য করে নির্বিচারে গুলি ছুঁড়ছে।
রোববারের সহিংসতায় হতাহত হওয়ার প্রতিবাদে মঙ্গলবার নতুন করে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে ব্রাদারহুড।
উল্লেখ্য, গত ৩ জুন সেনা অভ্যুত্থানে প্রেসিডেন্ট মুরসি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর রোববার ফের রক্তক্ষয়ী সহিংসতার ঘটনা ঘটলো। এর আগে কয়েক দফা সহিংসতায় প্রায় ৯ শতাধিক ব্রাদারহুড কর্মী নিহত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০১৩
এইচএ/বিএসকে