ঢাকা: ২০১৫ সালের মধ্যে প্রথমবারের মতো প্রাণঘাতী ব্যাধি ম্যালেরিয়ার ভ্যাকসিন বাজারে ছাড়ছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক ওষুধ উৎপাদক প্রতিষ্ঠান গ্লাক্সোস্মিথক্লিন (জিএসকে)। সম্প্রতি আফ্রিকার ম্যালেরিয়া আক্রান্ত শিশুদের ওপর ভ্যাকসিনটির কার্যকারিতা যাচাইয়ের পর এই ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রসিদ্ধ ওষুধ উৎপাদক প্রতিষ্ঠানটির বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন, কার্যকারিতা যাচাইয়ে ইতিবাচক ফলাফল পাওয়ায় প্রথম বারের মতো বিশ্ববাসীর জন্য ম্যালেরিয়া প্রতিরোধক ইনজেকশন বাজারে ছাড়তে পারবেন তারা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) হিসেব মতে, মশাবাহিত সংক্রামক ব্যাধি ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে প্রতিবছর এক লাখেরও বেশি মানুষ মারা যায়। কিন্তু এতোদিন ধরে এই প্রাণঘাতী ব্যাধিকে সমূলে উৎপাটন করতে কার্যকরী কোনো ভ্যাকসিনই উদ্ভাবন করা যায়নি।
জিএসকে জানায়, ‘আরটিএস,এস’ নামক এই ভ্যাকসিনটির কার্যকারিতা আফ্রিকার প্রায় অর্ধেক ম্যালেরিয়া আক্রান্ত শিশুর ওপর যাচাই করা হয়েছে। ফলাফলে দেখা যায়, যেসব ম্যালেরিয়া আক্রান্ত শিশু ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছে তাদের প্রায় ৭৫ শতাংশই বর্তমানে নিরাময় লাভ করার পথে।
জিএসকে আরও জানিয়েছে, পুরো একশ’ শতাংশ কার্যকারিতা লাভ করতে তারা ‘আরটিএস,এস’কে আরও সমৃদ্ধ ও উন্নত করছে। বিল এন্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় এই অভাবনীয় উদ্ভাবনে গ্লাক্সোস্মিথক্লিনের সঙ্গে কাজ করছে প্যাথ ম্যালেরিয়া ভ্যাকসিন ইনিশিয়েটিভ (এমভিআই) নামক আরেকটি সংগঠন।
আফ্রিকার বুর্কিনা ফাসো’য় ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা যাচাইয়ের পর ‘আরটিএস,এস’র শীর্ষস্থানীয় উদ্ভাবক হালিদো টিনটো বলেন, আমাদের হাসপাতালে এখন ম্যালেরিয়া আক্রান্ত রোগীদের ভিড় পড়ে গেছে। হাসপাতালের কক্ষগুলো রোগীতে পরিপূর্ণ।
তিনি বলেন, ভ্যাকসিনের ভালো ফলাফল পাওয়ায় এই অভাবনীয় সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। তবে বিশ্বব্যাপী এই প্রাণঘাতী ব্যাধির শিকড় উৎপাটনে ‘আরটিএস,এস’র আরও উন্নয়ন দরকার বলে উল্লেখ করেন টিনটো।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) জানিয়েছে, যদি ‘আরটিএস,এস’র ব্যবহারে ইউরোপীয় মেডিসিনস এজেন্সি (ইএমএ) অনুমোদন দেয় তবে তারাও বিশ্বব্যাপী এই ভ্যাকসিন গ্রহণের সুপারিশ করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১৩
এইচএ/বিএসকে