ঢাকা: মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের চিকিৎসায় অস্ত্রোপচার করা হয়েছে আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা ফার্নান্দেজের। বুয়েন্স আয়ার্সের একটি হাসপাতালে এ অস্ত্রোপচার করা হয়।
৬০ বছর বয়সী এই প্রেসিডেন্টকে অস্ত্রোপচার পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা হাসপাতালে রাখা হবে। আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত তিনি হাসপাতালে থাকবেন।
প্রেসিডেন্টের এই অনুপস্থিতি কারণে কংগ্রেস নির্বাচনে তার নির্বাচনী প্রচারণা আপাতত স্থগিত করতে হচ্ছে।
আর্জেন্টিনার আইনসভা কংগ্রেসের প্রাথমিক নির্বাচনে ফার্নান্দেজের বিরোধীরা এগিয়ে রয়েছে। ১১ আগস্ট এ নির্বাচন হয়। ২৭ অক্টোবর দ্বিতীয় দফার নির্বাচন উপলক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন ফার্নান্দেজ। এ নির্বাচনে বিজয়ীদের হাতে কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। আর্জেন্টিনার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ২০১৫ সালে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এ ধরনের অস্ত্রপচারের পর সেরে উঠতে একটু সময় লাগে। তাকে এক মাসের বেশি বিশ্রাম নিতে হতে পারে।
তার অনুপস্থিতে দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট আমাদো বৌদু প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করবেন।
এর আগে রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যমে আলফ্রেডো সোসিমারো জানান, ১২ আগস্ট ‘মাথায় আঘাত’ সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগেছিলেন প্রেসিডেন্ট।
ফার্নান্দেজের চিকিৎসদের সই করা একটি বিবৃতির বরাত দিয়ে আলফ্রেডো সোসিমারো জানিয়েছিলেন, গত আগস্টে মাথায় আঘাতের পর চিকিৎসকেরা প্রেসিডেন্টের মস্তিষ্ক সিটি স্ক্যান করেছেন এবং তারা কোনো সমস্যা দেখতে পাননি। এরপর তার কোনো সমস্যা ছিলো না।
অস্বাভাবিক হৃদস্পন্দনের কারণে শনিবার হাসপাতালে পরীক্ষা করার জন্য গেলে সমস্যা ধরা পড়ে। প্রেসিডেন্টের মাথা ব্যথা করছে। চিকিৎসকরা আবারও তার মস্তিষ্ক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন। চিকিৎসকেরা বলেছেন, তিনি সাবডুরাল হেমাটোমায় আক্রান্ত (মস্তিস্ক ও মাথার খুলির মধ্যে রক্তক্ষরণজনিত সমস্যা)।
২০০৭ সাল থেকে আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন ফার্নান্দেজ। তার স্বামী আর্জেন্টিনার সাবেক প্রেসিডেন্ট নেস্টর কির্চনার ২০১০ সালে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৩
কেএইচকিউ/জেসিকে