ঢাকা: ভারতের মধ্য প্রদেশের একটি মন্দিরে হুড়োহুড়ি করতে গিয়ে পদদলিত হয়ে অন্তত ৮৯ জন নিহত ও শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছে। হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করেছে কর্তৃপক্ষ।
পুলিশ জানিয়েছে, রোববার সকালে মন্দিরের কাছে সিন্ধু নদীর ওপরের সেতু অতিক্রম করার সময় এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
দেশটির সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে রোববার সকালে ডাতিয়া জেলার রতনগড় মন্দিরে কয়েক হাজার লোক সমাগম হলে পুলিশ ধীরস্থিরভাবে অর্চনা করার আহ্বান জানায়। কিন্তু অর্চনা দিতে লোকজন হুড়োহুড়ি শুরু করলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এতেই এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় প্রশাসন দাবি করেছে, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। কিন্তু গুজব ছড়িয়ে পড়লে হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
অনেকে বলেছে, উত্তর প্রদেশ থেকে আসা কয়েকজন লোকের একটি দল লাইনে না দাঁড়িয়ে দ্রুত মন্দির প্রাঙ্গনে যেতে গুজব ছড়ায় যে, নদীর ওপরের সেতুটি ভেঙে যাচ্ছে। এ গুজবে সবার মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে সবাই এদিক-ওদিক দৌঁড়াতে থাকে।
পুলিশের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টার দাবি করা হলেও অভিযোগ উঠেছে, হুড়োহুড়ি শুরু হলে পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তা দেখেছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অনেকে পুলিশের ওপর পাথর ছুড়ে মেরেছে। পাথরের আঘাতে ছয়জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে ।
জানা গেছে, ডাতিয়া থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরের ওই মন্দিরে প্রায় ৫ লাখের মতো মানুষ জড়ো হয়েছিল।
২০১০ সালে উত্তর প্রদেশের একটি মন্দিরের গেট ভেঙে পড়ার পর পদদলিত হয়ে কমপক্ষে ৬৩ জন নিহত ও শতাধিক আহত হয়। ২০০৮ সালে জোধপুরের বিখ্যাত মেহরানগঢ় ফোর্টের ভেতরের চামুন্দা দেবী হিন্দু মন্দিরে পদদলিত হয়ে ২২০ জনের বেশি নিহত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৪ ঘণ্টা/আপডেটেড: ১৫৪৭ ঘণ্টা /আপডেটেড: ২২০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৩
এইচএ/এসএফআই/এসআরএস