ঢাকা: ভারতের মধ্য প্রদেশের একটি মন্দিরে হুড়োহুড়ি করতে গিয়ে পদদলিত হয়ে নিহতের সংখ্যা ১১৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয় শতাধিক ব্যক্তি।
সোমবার দেশটির পুলিশের উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, রোববার সকালের এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলেই অর্ধশতাধিক পূণ্যার্থী নিহত হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে ভর্তি করার পর আরও প্রায় কয়েক ডজন লোকের মৃত্যু হয়।
জানা গেছে, সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। তবে এ ঘটনায় প্রশাসনিক ব্যর্থতার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস।
দেশটির সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে রোববার সকালে ডাতিয়া জেলার রতনগড় মন্দিরে কয়েক হাজার লোক সমাগম হলে পুলিশ ধীরস্থিরভাবে অর্চনা করার আহ্বান জানায়। কিন্তু অর্চনা দিতে লোকজন হুড়োহুড়ি শুরু করলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এতেই এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় প্রশাসন দাবি করে, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। কিন্তু গুজব ছড়িয়ে পড়লে হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
অনেকে বলেন, উত্তর প্রদেশ থেকে আসা কয়েকজন লোকের একটি দল লাইনে না দাঁড়িয়ে দ্রুত মন্দির প্রাঙ্গনে যেতে গুজব ছড়ায় যে, নদীর ওপরের সেতুটি ভেঙে যাচ্ছে। এ গুজবে সবার মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে সবাই এদিক-ওদিক দৌঁড়াতে থাকে।
পুলিশের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টার দাবি করা হলেও অভিযোগ উঠে, হুড়োহুড়ি শুরু হলে পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তা দেখেছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অনেকে পুলিশের ওপর পাথর ছুড়ে মেরেছে। পাথরের আঘাতে ছয়জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে ।
জানা গেছে, ডাতিয়া থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরের ওই মন্দিরে প্রায় ৫ লাখের মতো মানুষ জড়ো হয়েছিল।
২০১০ সালে উত্তর প্রদেশের একটি মন্দিরের গেট ভেঙে পড়ার পর পদদলিত হয়ে কমপক্ষে ৬৩ জন নিহত ও শতাধিক আহত হয়। ২০০৮ সালে জোধপুরের বিখ্যাত মেহরানগঢ় ফোর্টের ভেতরের চামুন্দা দেবী হিন্দু মন্দিরে পদদলিত হয়ে ২২০ জনের বেশি নিহত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৩
এইচএ/বিএসকে