ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রের ওপর ‘অবিশ্বাস’ জন্মেছে ইইউ নেতাদের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৩
যুক্তরাষ্ট্রের ওপর ‘অবিশ্বাস’ জন্মেছে ইইউ নেতাদের

ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের একের পর এক গোপন নজরদারির কথ‍া ফাঁস হওয়ায় এবার একটু বেকায়দায় পড়েছে দেশটি। সবশেষ ফ্রান্স ও জার্মানিতে ফোনে আড়িপাতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও তার ইউরোপীয় মিত্র দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্কে একটু টান টান অবস্থা তৈরি হয়েছে।



ফ্রান্স ও জার্মানি এরই মধ্যে নিজ দেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতে ডেকে এ নিয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছে। এদিকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসতে যাচ্ছে ফ্রান্স ও জার্মানি।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদের সঙ্গে নিজের বৈঠকের বসার বিষয়টি জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মেরকেল। আঙ্গেলা মেরকেল বলেন, একবার যদি অবিশ্বাসের বীজ বপন হয় তাহলে গোয়েন্দামূলক কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা অনেক কঠিন হয়ে পড়বে।

তিনি বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বৈঠকের প্রথমদিনের শেষের দিকে জার্মানি ও ফ্রান্স যুক্তরাষ্ট্রের গোপন নজরদারি নিয়ে ‘একটি ফ্রেমওয়ার্ক’ তৈরি করতে চান।

যুক্তরাষ্ট্রের নজরদারি নিয়ে সৃষ্ট বিতর্ক ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বৈঠকে ছায়া ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ওয়াশিংটনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার নিশ্চয়তা চেয়েছেন মেরকেল। আর এটি শুধু ক্ষমা চাওয়ামূলক বাক্যে নয়-এমনটিও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেছেন, এতেই ভবিষ্যত পরিষ্কার হবে..কিছু অবশ্যই পরিবর্তিত হবে এবং গুরুত্বপূর্ণভাবে।

জার্মান সংবাদমাধ্যমগুলো সংবাদ প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা (এনএসএ) চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মেরকেলে ফোনে আড়ি পেতেছিল। এরপর পরই বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে ফোনে আলাপ করেন মেরকেল।  

এক পৃথক সংবাদ সম্মেলনে ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট হেরমান ভান রুম্পুয়ে বলেছেন, ইউরোপীয় নেতারা ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ফ্রান্স ও জার্মানির দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের উদ্দেশ্য সম্পর্কে অবগত হয়েছেন।

অন্য দেশগুলোও ‘এ পদক্ষেপে মুক্তভাবে যোগ’ দিতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। রুম্পুয়ে বলেছেন, গোপনে নজরদারি চালানোটি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অস্ত্র কিন্তু ‘বিশ্বাসের অভাবে’ এটি পক্ষপাতমূলক হবে।

চলতি বছরের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের গোপন নজরদারির কথা ফাঁস করে দেন দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-এর সাবেক নিরাপত্তা বিশ্লেষক এডওয়ার্ড স্নোডেন। এর পর থেকে নিজ দেশের লাখো ফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের নাগরিক, সরকারি কর্মকর্তা, কূটনীতিক ও সরকার-রাষ্ট্রপ্রধানদের ফোনো যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার আড়ি পাতার খবর প্রকাশ পেতে থাকে।

বাংলাদেশ সময়: ১০২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৩
এসএফআই/জিসিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।