ঢাকা: ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ ও উড়িষ্যায় গত চার দিনে বন্যায় কমপক্ষে ৩৮ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। বন্যার ফলে গৃহহীন হয়েছেন সহস্রাধিক মানুষ।
শনিবার দেশটির পূর্ব উপকূলে বন্যা পরিস্থিতি ভয়ানক আকার ধারণ করেছে। ঘূর্ণিঝড় পাইলিনের পর ঝড়ো হাওয়ায় বঙ্গোপসাগর উত্তাল হয়ে উপকূলীয় শহরে একটানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বর্ষার প্লাবনে কয়েকশ’ গ্রামের বাড়িঘর ও শস্যক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
অন্ধ্রপ্রদেশে বন্যার ফলে ২৮ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। প্রদেশটির অন্ধ্র ও রায়ালাসীমা ছাড়াও তেলেঙ্গানায় মুষলধারে বৃষ্টির কারণে নদীতে জলোচ্ছাস সৃষ্টি হয়েছে। বন্যায় প্রদেশটির কর্মকর্তারা বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন। শ্রীকাকুলাম ও গুন্টার জেলায় ৬৭ হাজার মানুষকে ১৩৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ধান ও তুলা ক্ষেতের ৪.৩৪ লাখ হেক্টর জমি বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৮শ’ কিলোমিটার সড়কপথ। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় আশেপাশের এলাকায় মুষলধারে বৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বাহিনীর (এনডিআরএফ) ১২টি দল বন্যা কবলিত এলাকায় কাজ করছে।
হায়দ্রাবাদের কয়েকটি এলাকাও বন্যার পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। বন্যার কবল থেকে নিজেদের রক্ষা করতে মানুষ ভবনের নীচতলা থেকে ওপরের তলার দিকে উঠে যাচ্ছে।
উড়িষ্যায় বন্যার ফলে ১০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। প্রদেশটির গাঞ্জাম শহর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পাইলিনের পর এ শহরটিতে তিনবার মুষলধারে বৃষ্টিপাত হয়েছে। শহরের প্রায় ৮৫ হাজার মানুষকে বন্যার কবল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
দেশটির বিমান বাহিনীর তিনটি হেলিকপ্টার প্রদেশটিতে ত্রাণ সহায়তা দিতে কাজ করছে। উড়িষ্যা সরকার বন্যা কবলিত শহরের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। শহরের মধ্যে ট্রেন চলাচল স্থগিত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৩
কেএইচকিউ/বিএসকে