ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ফরাসিদের ফোনে যুক্তরাষ্ট্র নয়, ইসরায়েল আড়ি পেতেছিল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৩
ফরাসিদের ফোনে যুক্তরাষ্ট্র নয়, ইসরায়েল আড়ি পেতেছিল

ঢাকা: ফ্রান্সের লাখো লাখো ফোনে আড়ি পাতার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্টতা নেই। এটি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র রাষ্ট্র ইসরায়েল।

প্রমাণসহ এ তথ্য দিয়েছে ফরাসি পত্রিকা লে মঁদ।

গত সপ্তাহ থেকে কানা ঘুষা চলছিল ফ্রান্সের কূটনীতিক, সরকারি কর্মকর্তাসহ নাগরিকদের ফোনে আড়ি পেতেছিল যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা (এনএসএ)।

কিন্তু শুক্রবার লে মঁদ প্রকাশ করেছে, ইসরায়েলি গোয়েন্দারা এ কাজ করেছে। পত্রিকাটির খবরে বলা হয়েছে, ফরাসিদের ৭ কোটির বেশি ফোন কল ও বার্তা ইসরায়েলি গোয়েন্দারা ট্যাপ করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রকে অভিযুক্ত করে এরই মধ্যে নিজ দেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে ফ্রান্স। মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কাছে এ বিষয়ে স্পষ্ট ব্যাখা দাবি করেছে ফরাসি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

২০১২ সালের নির্বাচনের সময় সাবেক প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজির ফোনে যুক্তরাষ্ট্র আড়ি পেতেছিল বলে ফ্রান্সের চোখে প্রথম সন্দেহভাজন যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্রের কাছে যথেষ্ট ব্যাখ্যা চাইতে এরই মধ্যে ফ্রান্সের দুই গোয়েন্দা কর্মকর্তা ওয়াশিংটনে গেছেন।
ইসরায়েলি গোয়েন্দারা যে ফোনে আড়ি পেতেছিল তার প্রমাণও দেখিয়েছে লে মঁদ।

যুক্তরাষ্ট্রও ইঙ্গিত দিচ্ছে, ফোনে আড়ি পেতেছিল ইসরায়েল। ওয়াশিংটন জোরের সঙ্গে বলছে, তারা কখনও ফ্রান্সে গোপন নজরদারি চালায়নি। ফ্রান্সের সঙ্গে সবসময় তারা ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখে চলতে চায়। যুক্তরাষ্ট্র হাতে গোনা যে কয়েকটি ঘনিষ্ঠ দেশকে নিজের মিত্র ভাবে তাদের মধ্যে ফ্রান্স রয়েছে।

লে মঁদে প্রকাশিত খবরেও বলা হয়েছে, ফ্রান্সে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের গোপনে নজরদারি চালানোর বিষয়ে উড়িয়ে দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলের এ কুখ্যাত গোয়েন্দা সংস্থা না করলে ইসরায়েলের সাইবার ইন্টেলিজেন্স ইউনিট আইএসএনইউ চালাতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের এনএসএ-এর সাইবার হামলা দেখভালকারী ইউনিট টেইলরড অ্যাকসেস অপারেশন্স (টিএও) এমন তথ্য দিয়েছে বলে লে মঁদ জানিয়েছে।

ফ্রান্সের পরে জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মেরকেলের ফোনে আড়ি পাতার অভিযোগ উঠে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে। জার্মানিও নিজ দেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তলব করে। বিষয়টি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার  সঙ্গে ফোনে কথা বলেন আঙ্গেলা মেরকেল।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদান নিয়ে নতুন আচরণবিধি চাইতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিশেষ করে ফ্রান্স ও জার্মানির নেতারা একতাবদ্ধ হয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৩
এসএফআই/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।