ঢাকা: সৌদি আরবে নারীদের গাড়ি চালানোর নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের প্রতিবাদের বিপক্ষে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সতর্কবার্তার পর এ নিয়ে প্রচারণা কর্মসূচি বাতিল করেছে প্রতিবাদকারীরা।
নারীদের গাড়ি চালানোর ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে প্রতিবাদকারীদের শনিবার একটি নতুন প্রচারণা শুরু করার কথা ছিলো।
কিন্তু দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, কেউ এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে তাকে অনির্দিষ্ট শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে।
দেশটিতে নারীদের গাড়ি চালানোর নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে ১৯৯০ সালে প্রথম প্রতিবাদ শুরু হয়। নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে ২০১১ সালে দ্বিতীয় দফায় প্রতিবাদ করে আন্দোলনকারীরা।
প্রায় ১৭ হাজার মানুষ নারীদের গাড়ি চালানোর নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নিতে একটি পিটিশনে স্বাক্ষর করেন। নারীরা কেনো জোরপূর্বক এ নিষেধাজ্ঞার শিকার হবেন পিটিশনে এর ব্যাখ্যা চেয়েছেন তারা।
এ নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে ১৯৯০ সালে প্রতিবাদ করার পর অনেক নারী গ্রেফতার হয়েছিলেন ও অনেকে তাদের চাকরি হারিয়েছিলেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মানসৌর আল-তুর্কি বৃহস্পতিবার নারী গাড়ি চালকদের প্রচারণার ব্যাপারে সরকারের কঠোর অবস্থানের কথা জানান।
এর আগে বুধবার মানসৌরি কঠোর অবস্থানের ব্যাপারে একটি বিবৃতি দেন। কিন্তু প্রচারণাকারীদের জন্য সে বিবৃতি ছিলো বিভ্রান্তিমূলক। তারা বুঝতে পারেনি এটা তাদের পক্ষের না বিপক্ষের বিবৃতি।
পরের দিন মানসৌরি স্পষ্টভাবে নারীদের গাড়ি চালানোর নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, এই আইন ভঙ্গকারী ও এর সমর্থকরা অনির্দিষ্ট শাস্তির সম্মুখীন হবেন।
এ সপ্তাহের শুরুতে দেশটির ১শ’ জন রক্ষণশীল ধর্মীয় নেতা দেশটির রাজধানী রিয়াদে একটি রাজকীয় আদালতে এ প্রচারণাকে নারীদের একটি ষড়যন্ত্র ও দেশের জন্য হুমকি বলে আখ্যা দেয়।
নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রচারণার অংশ হিসেবে বেশ কয়েকজন নারী সৌদির বিভিন্ন রাস্তায় তাদের গাড়ি চালানোর ভিডিও অনলাইনে তুলে দিয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত তাদের কেউই গ্রেফতার হননি।
আন্দোলনকারীরা মনে করছেন নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে মানুষের ভেতর পরিবর্তন আসছে। অনেক পুরুষও প্রকাশ্যে এ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ব্যাপারে কথা বলছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৩
কেএইচকিউ/আরআইএস