ঢাকা: একেই বলে একাদশে বৃহস্পতি। একইসঙ্গে নিজের ৭০তম বিবাহবার্ষিকী ও ১০৫তম জন্মদিন পালন।
সিবিএ-৩ চ্যানেলে এক প্রতিবেদনে জানায়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে ব্রিটেনের সেন্ট জোসেফ প্রিপারেটরি স্কুলে ভর্তি হয়েছিলেন বিল। ১৫ বছর বয়সী বিলের ভালোই কাটছিল দিনকাল। কিন্তু কপাল খারাপ। স্কুল শেষ করার আগেই বেধে যায় বিশ্বযুদ্ধ। তাছাড়া পরিবারে নেমে আসে আর্থিক টানাপোড়েন। অগত্যা বাধ্য হয়েই বাবা-মাকে সাহায্য করার জন্য স্কুল ছাড়তে হয় বিলকে। যুদ্ধ-কাজ এই দুটি কারণেই পড়াশোনায় ছেদ পড়ে বিলের।
তারপর কেটে যায় জীবনের অনেকগুলো বছর। এরই মধ্যে বিয়ে-সংসার-সন্তান সবকিছুই হলো। কিন্তু শিক্ষাজীবন শেষ করতে না পারার অপূর্ণতা থেকে যায় বিল মরের। তাই জীবন সায়াহ্নে এসে মেয়েকে জীবনের এই অপূর্ণতার কথা জানালেন। মেয়েও পুনরায় পড়াশোনা শুরু করার সকল ব্যবস্থা করে দেন। অবশেষে বাকি পাঠ শেষ করে ডিগ্রি লাভ করেন তিনি।
স্কুলের প্রেসিডেন্ট বিল কনোর্স বলেন, মর যদি সময়মতো পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারতো তাহলে আজ সে শিক্ষাজীবনের ৮৫তম বার্ষিকী পালন করতেন। যাহোক দেরিতে হলেও তাকে এই ডিগ্রি প্রদান করতে পেরে আমরা সম্মানিত।
এ বিষয়ে বিল মর বলেন, আমি যদি আগামীকাল মারা যাই তাহলে বিধাতার কাছে চাওয়ার কিছুই থাকবে না। জীবনে আমার যা যা দরকার ছিল সবই তিনি দিয়েছেন। বরং যা চেয়েছি তার চেয়ে বেশিই পেয়েছি।
বাংলাদেশ সময়: ০৪১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৩
কেএইচ/এসএইচ/আরকে