কলকাতা: বিহারের পাটনা শহরের গান্ধী ময়দানে নরেন্দ্র মোদীর সভার কাছাকাছি পর পর ৬টি বিস্ফোরণ ঘটেছে। নিহত হয়েছে ৭ জন।
এদিন দুপুর ১২টা অবধি মোট ৬টি বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গিয়েছে। তার মধ্যে একটা আবার মোদীর সভাস্থল থেকে মাত্র ১৫০ মিটার দূরে গান্ধী ময়দানে। ৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।
রোববার পাটনায় নরেন্দ্র মোদীর সভা জুড়ে ছিল সাজ সাজ রব। বিহারের রাজধানী ঢেকে গিয়েছিল মোদীর পোস্টার ও ফেস্টুনে। কিন্তু সব তাল কেটে গেল এই ধারাবাহিক বিস্ফোরণের খবরে।
প্রথম বিস্ফোরণের ঘটানাটি ঘটে পাটনা রেল স্টেশনে। সকাল ৯টা নাগাদ পাটনা রেলস্টেশনের পাশে একটি শৌচালয়ে বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে এক ব্যক্তি নিহত হন । বিস্ফোরণস্থলে আরও দুটি তাজা বোমা উদ্ধার হয়।
পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ। কে বা কারা এই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে তা জানা যায়নি। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
বিস্ফোরণের দ্বিতীয় ঘটনাটিও ঘটে পাটনা রেলস্টেশনে। বোমা নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি ঘটে।
তৃতীয় বিস্ফোরণটি ঘটে গান্ধী ময়দানে। তার কিছুক্ষণ পরেই যেখানে নরেন্দ্রে মোদীর নির্বাচনী সভা করার কথা। সভাস্থল থেকে মাত্র ১৫০ মিটার দূরে এই বিস্ফোরণে এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হন। এরপর আরও তিনটি বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যায়।
বিস্ফোরণের ঠিক আগেই মোদীর সভায় যোগ দিতে কয়েক হাজার বিজেপি সমর্থক পাটনা স্টেশনে নামেন। বিজেপি মোদীকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করাতেই ১৭ বছরের শরিকী সম্পর্ক ভেঙে এনডিএ ছেড়েছে নীতিশ কুমারের জেডিইউ।
৬টি বিষ্ফোরণে নিহত হন ৭ জন ও আহতের সংখ্যা ২০। এই বিস্ফোরণের ফলে যথেষ্ট চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। যদিও প্রায় নিদিষ্ট সময়ের কিছু পরেই সভা শুরু হয়।
সভা ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা সত্ত্বেও এই ঘটনা বিহার প্রশাসনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৩
ভিএস/ এসএস/জেসিকে