ম্যানিলা: ফিলিপাইনের কমিউনিস্ট বিদ্রোহীরা দেশটির সামরিক বাহিনী ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো লক্ষ্য করে হামলার হুমকি দিয়েছে। এ মাসেই সরকারের সঙ্গে নির্ধারিত শান্তি আলোচনা শুরুর আগেই তারা এ ঘোষণা দিল।
নিউ পিপলস আর্মির (এনপিএ) রাজনৈতিক শাখার মুখপাত্র আরমান গেরেরো বলেন, ‘বড়দিন উপলক্ষে সরকারের সঙ্গে করা ১৮ দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির মেয়াদ সোমবার শেষ হয়েছে। এখন আমাদের বাহিনী আবারো যুদ্ধ শরু করতে প্রস্তুত। ’
গেরেরো বলেন, ‘মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে আজ থেকেই আমাদের বিপ্লবী সংগঠনের সকল সদস্য কৌশলগত হামলা চালাবে। ’
গেরেরো আরও বলেছেন, ফিলিপাইনের বিভিন্ন এলাকায় যেসব কোম্পানি নিয়ম-নীতি মেনে চলবে না তাদেরকেও ছাড় দেয়া হবে না।
উল্লেখ্য, সেনাবাহিনী ব্যাপকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে এ অভিযোগের ভিত্তিতে এনপিএ তাদের সশস্ত্র হামলা বৈধ বলে দাবি করে।
চলতি মাসে নরওয়ের রাজধানী অসলোতে সরকারের সঙ্গে এনপিএর শান্তি আলোচনা পুনরায় শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে, ২০০৪ সালে সরকার তাদের সঙ্গে রাজনৈতিক সমঝোতার লক্ষ্যে বৈঠক হয়েছিল।
এ হুমকির প্রেক্ষিতে শান্তি বিষয়ে প্রেসিডেন্ট বেনিগনো অ্যাকুইনোর প্রধান পরামর্শক তেরেসিতা দেরেস বলেছেন, ‘এনপিএর পক্ষ থেকে হামলার হুমকি বিদ্রোহীদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক সমঝোতা স্থাপনের লক্ষ্যে আমাদের প্রচেষ্টাকে দূর্বল করে দেবে। আলোচনা এগিয়ে নিতে আমরা কোনো শর্ত আরোপ করিনি। আমরা আশা করি দেশ ও জাতির স্বার্থে তারা হামলার পরিকল্পনা প্রত্যাহার করবে। ’ সময় ও শক্তিক্ষয় না করে আসন্ন শান্তি আলোচনার জন্যে উভয়পক্ষকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, ১৯৬৯ সাল থেকে ফিলিপাইনে মাওবাদী কমিউনিস্ট বিদ্রোহীরা সশস্ত্র আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। এনপিএর বর্তমান সদস্য সংখ্যা ৪ হাজার ৭০০। সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের সংঘর্ষে এ যাবৎ কয়েক হাজার লোক নিহত হয়েছে বলে সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০১১