ঢাকা: বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের রায় নিয়ে উদ্ধত প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছেন ওই ঘটনার অন্যতম খলনায়ক চৌধুরী মাঈনুদ্দিন।
মঙ্গলবার বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে বিচারকার্যকে ‘ত্রুটিপূর্ণ’ ও ‘প্রভাবিত’ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ প্রতিক্রিয়া দেওয়ার সময়ে আচরণও উদ্ধত ছিলো মাঈনুদ্দিনের।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের প্রাক্কালে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যার দায়ে তার বিরুদ্ধে ফাঁসির দণ্ডাদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ওই রায় নিয়েই যতো আপত্তি যুক্তরাজ্য প্রবাসী মাঈনুদ্দিনের।
গত রোববার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল মাঈনুদ্দিনের অনুপস্থিতিতেই তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন। তার বিরুদ্ধে অপহরণ, মুক্তিযোদ্ধা হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
স্বাধীনতা যুদ্ধের বিজয়ের প্রাক্কালে দণ্ডিত দুই ব্যক্তি অন্যদের সহযোগিতায় দেশের শ্রেষ্ঠ বুদ্ধিজীবীদের নিজ নিজ বাসভবন থেকে অপহরণ ও হত্যায় সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন বলে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।
অভিযোগে বলা হয়, আশরাফুজ্জামান ও মাঈনুদ্দিনের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ ও নেতৃত্বে বুদ্ধিজীবীদের বাড়ি থেকে তুলে মোহাম্মদপুরের ফিজিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারে আল বদর হেড কোয়ার্টারের নির্যাতন ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হতো। সেখানে আটকে রেখে তাদের ওপর নির্যাতন চালানো হতো। তারপর মিরপুর ও রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে নিয়ে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হতো। এভাবে ১৯৭১ সালের ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ১৮ জন বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করা হয়। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ জন শিক্ষক, ৬ জন সাংবাদিক ও ২ জন চিকিত্সক।
তবে সাক্ষাতকারে মাঈনউদ্দিন তার বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ অস্বীকার করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে দ্বিধাহীনভাবে জানান, মুক্তিযুদ্ধে তিনি অখণ্ড পাকিস্তানের পক্ষে ছিলেন। এটাকে তিনি কোন ধরনের অপরাধ বলে মনে করেন না।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০১৩
কেএইচ/জেডএম/জেসিকে