নয়াদিল্লি: ভারতের ক্ষমতাসীন দলের কাছে আবারও ফিরে আসছে ইতিহাসের সবচেয়ে বৃহৎ দুর্নীতির মামলা। এবার ঘুষ দেওয়া এবং অবৈধভাবে মুনাফা গ্রহণের অভিযোগে মামলা হতে যাচ্ছে দলটির বিরুদ্ধে।
বোফোর্স দুর্নীতির এ মামলা সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজিব গান্ধীর জনপ্রিয়তায় ব্যাপক ধস নামিয়েছিলো।
ভারত ১৯৮৬ সালে বোফোর্স অস্ত্র চুক্তির আওতায় অবৈধভাবে ইতালির ব্যবসায়ী ওত্তাভিয়ো কুয়াত্রোচিসহ ভারতীয় অস্ত্র ব্যবসায়ী উইন চাধাকে ৪১ কোটি রুপি (৯০ লাখ মার্কিন ডলার) অবৈধ কমিশন দেয়। ভারতের আয়কর বিভাগ সোমবার এ তথ্য জানায়।
কিন্তু গত বছর কুয়াত্রোচির বিরুদ্ধে দায়ের করা দীর্ঘমেয়াদি মামলাটি বাতিল করে দেয় ভারতীয় পুলিশ। তবে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস দল মামলাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে বিরোধী দল অভিযোগ করে আসছে।
এদিকে, কুয়াত্রোচি এখনও মিলানে বসবাস করছেন বলে ধারণা করা হয়। তিনি প্রয়াত রাজীব গান্ধী ও তার স্ত্রী এবং কংগ্রেসের বর্তমান প্রধান সোনিয়া গান্ধীর ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
এই বোফর্স কেলেঙ্কারির কারণেই ১৯৮৯ সালের নির্বাচনে পরাজিত হন রাজীব গান্ধী। চুক্তির আওতায় সুইডিশ প্রতিষ্ঠান এবি বোফর্স ভারতের কাছে ৪০০ বন্দুক বিক্রি করে।
তবে বন্দুক বিক্রির বিষয়টি নিশ্চিত করতে এ সুইডিশ প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ১৩০ কোটি ডলার ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ আছে। তবে গান্ধী পরিবারসহ ওই প্রতিষ্ঠান ও অভিযুক্ত অন্যান্য বরাবরই নিজেদের নির্দোষ বলে দাবি করে আসছেন।
এদিকে, আয়কর বিভাগের তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ও বিচারকদের সন্দেহভাজন ঘুষগ্রহীতাদের বিরুদ্ধে মামলা বাতিল করার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করেন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতা অরুণ জৈতলি।
অরুণ সোমবার এ বিষয়ে বলেন, ‘এটাই সত্যের শক্তি। আমাদের সবসময়ই এ বিশ্বাস আছে যে একদিন না একদিন সত্য প্রকাশিত হবেই। ’
৯৮ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে আয়কর বিভাগ জানায়, বোফর্সের ঘটনায় কুয়াত্রোচি ও চাধা অর্থ নিয়েছিল এবং ভারতে তাদের আয়কার দেওয়া উচিৎ ছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১১