ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা প্রশমনে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৫, ২০১১
কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা প্রশমনে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগ

সিউল: দক্ষিণ কোরিয়ার দ্বীপে হামলা এবং পিয়ংইয়ংয়ের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে দুই কোরিয়ার মধ্যে সৃষ্ট উত্তেজনা প্রশমনে যুক্তরাষ্ট্র আবারও উদ্যোগ নিয়েছে। এ লক্ষ্যে বুধবার মার্কিন বিশেষ প্রতিনিধি সিউলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

খবর এএফপির।

উত্তর কোরিয়া বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ প্রতিনিধি স্টিফেন বসওয়ার্থ দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধান পরমাণু আলোচক উই সুং-লাকের সঙ্গে আলোচনার জন্য মঙ্গলবার সিউলে পৌঁছান।

সিউলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র এএফপিকে বলেন, উত্তর কোরিয়ার পরমাণু প্রকল্পের উন্নয়ন এবং এর ভবিষ্যৎ প্রভাব বিবেচনায় উভয়পক্ষকেই বর্তমান পরিস্থিতি মূল্যায়ন করতে হবে।

বুধবার দিন শেষে বেইজিং যাওয়ার আগে বসওয়ার্থ দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিম সোয়াং-হুয়ান এবং একত্রীকরণসংক্রান্ত মন্ত্রী হিয়ুন ইন-তায়েকের সঙ্গেও বৈঠক করবেন বলে কথা রয়েছে। তিনি বৃহস্পতিবার টোকিও পৌঁছবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ফিলিপ ক্রাউলি মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানান, ‘যুক্তরাষ্ট্র এটা পরিস্কার করে বলেছে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে খোলামেলা আলোচনায় আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু আমরা এ কথাও বারবার বলেছি যে, সেই আলোচনা অবশ্যই গঠনমূলক হতে হবে। প্রথমতো আলোচনার জন্যই আলোচনা করতে চাওয়া এটা আমরা চাই না। ’

তিনি আরও বলেন, দুই কোরিয়ার উত্তেজনা প্রশমনে প্রথমে উ. কোরিয়ার পক্ষ থেকেই উদ্যোগ দেখতে চায় ওয়াশিংটন। তাদের হুমকি-ধমকি বন্ধ করতে হবে এবং ২০০৫ সালে সই করা পরমাণু নিরস্ত্রিকরণ চুক্তি মেনে চলতে হবে।

দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ সংস্থা ইয়োহাপ একজন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় সমঝোতা বৈঠকের আগে দুই কোরিয়ার মধ্যে একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসতে চায় যাতে সমঝোতার জন্য সিউল পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে কিছু শর্ত নিয়ে কথা বলতে পারে।

ক্রাউলি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপক্ষীয় এবং বহুপক্ষীয় সবধরনের বৈঠকেই রাজি আছে। কিন্তু এ মুহূর্তে আলোচনা দ্বীপক্ষীয় বা বহুপক্ষীয় যাই হোক তা ফলপ্রসূ করতে উত্তর কোরিয়ার দায়িত্বই সবচেয়ে বেশি।

উল্লেখ্য, দুই কোরিয়ার মধ্যে নতুন করে সীমান্ত বিরোধ শুরু হয় গত বছরের ২৩ নভেম্বর। সিউলের একটি দ্বীপে পিয়ংইয়ংয়ের ছোড়া গোলাবর্ষণে ওই সময় ৪ জন নিহত হন।

সম্প্রতি জাপানের পক্ষ থেকে আলোচনা শুরুর তাগাদা এলে উত্তর কোরিয়া ইতিবাচক সাড়া দেয়। ফলে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ আলোচনা নতুন গতি পেয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৫, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।