আগরতলা (ত্রিপুরা): ল্যান্ড ফোনের বিল মিটিয়ে দেয়া হয় নি। তাই কেটে দেয়া হল ফোনের লাইন।
এ ঘটনা বৃহস্পতিবার রাতের। আর এই লাইন কাটাকে কেন্দ্র করে স্বরাষ্ট্র দপ্তরের বিরুদ্ধে কথা উঠতে শুরু করেছে রাজ্যে।
রাজধানীর প্রধান দুই থানা হচ্ছে পূর্ব কোতোয়ালী এবং পশ্চিম কোতোয়ালী। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই এই দুই থানার ফোন কাজ করছে না। দুই থানার অফিসার ইনচার্জ এ বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি নন। তবে খবর নিয়ে জানা গেছে, সময়মতো ল্যান্ড ফোনের বিল মিটিয়ে না দেয়াতে কেটে দেয়া হয়েছে এই লাইনগুলো।
পশ্চিম কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মিলন দত্ত শুধু জানিয়েছেন, থানার ফোন বিকল। কোন ফোন করা যাচ্ছে না। আসছে না কোন কল। তবে থানার কর্মীরা মোবাইল দিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। কেন ফোন বিকল তা তিনি জানেন না বলে জানান বাংলানিউজকে।
এদিকে খবর নিয়ে জানা গেছে রাজ্য পুলিসের মহানির্দেশক বালা সুব্রাম্নিয়মের অফিসের একটি ফোনও কাজ করছে না। কাজ করছে না পশ্চিম জেলার পুলিস সুপার বিজয় নাগ এবং আরও কিছু পদস্থ অফিসারের অফিসের ফোনও। পুলিসের কোন কর্তাই এ বিষয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না।
বিএসএনএল অফিসে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে রাজ্য স্বরাষ্ট্র দপ্তরের বেশ কিছু ফোন নম্বরের বিল সময় মতো দেয়া হচ্ছে না। তাই লাইন কেটে দেয়া হচ্ছে।
এদিকে স্বরাষ্ট্র দপ্তরের মতো গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের ফোন লাইন কেটে দেয়াতে আলোচনার ঝড় বইছে। অনেকেই আঙ্গুল তুলছেন স্বরাষ্ট্র দপ্তরের দিকে। তাদের মতে কেন সরকার সময় মতো বিল মিটিয়ে দিচ্ছে না। ত্রিপুরার স্বরাষ্ট্র দপ্তরটি রয়েছে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর হাতে।
বিএসএনএলের জেনারেল ম্যানেজার দেবকুমার চক্রবর্তীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনিও লাইন কেটে দেবার বিষয়টি স্বীকার করেন। তিনি বাংলানিউজকে জানান, ৬৮৩টি ফোন নাম্বার শুক্রবার সকালে তারা চিহ্নিত করেছেন। যার সবকটিই পুলিস বা স্বরাষ্ট্র দপ্তরের অধীনে। এই লাইনগুলো যেন কাটা না হয় সে বিষয়টি দেখা হবে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, ফোনের বিল এবং সময়মতো বিল না দিলে লাইন ডিসকানেক্ট করার বিষয়টি সম্পন্ন হয় কম্পিউটার সিস্টেমের মাধ্যমে। তাই কোনটি থানার নম্বর আর কোনটি সাধারণ মানুষের বাড়ির নম্বর এটা জানা সম্ভব নয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৩
তন্ময়/আরআই/এসআরএস