ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

কার্বন ট্রেডিংয়ের পক্ষে সওয়াল করলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী

আগরতলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৩

আগরতলা (ত্রিপুরা): ত্রিপুরার বেশিরভাগ জমি বনভূমি আচ্ছাদিত। যা গোটা দেশের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা পালন করছে।

এর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দের দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। বলা চলে ঘুরিয়ে কার্বন ট্রেডিংয়ের পক্ষে সওয়াল করলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী।

ত্রিপুরার মোট জমির প্রায় ৭১ শতাংশ বনভূমি আচ্ছাদিত। বনভূমির পরিমাণ আগে আরও বেশি ছিল রাজ্যে। বর্তমানে বন ধ্বংসের ফলে কিছু কমেছে। কমলেও গোটা ভারতে যে পরিমাণ জমি বনভূমি আচ্ছাদিত তার চেয়ে ত্রিপুরায় অনেক বেশি জমিতে বন রয়েছে। ভারতের মাত্র ১৯.৫ শতাংশ জমিতে বন রয়েছে। চতুর্দশ অর্থ কমিশনের একটি দল রাজ্যে এসেছে ত্রিপুরার জন্য আগামী পাঁচ বছরের বরাদ্দ ঠিক করতে। তারা রাজ্য মন্ত্রিসভার সাথে কথা বলেন। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার তাদের সামনে ত্রিপুরার বনভূমির বিষয়টি তুলে ধরেন।

জানান, সারা দেশে যে পরিমাণ জমিতে বন রয়েছে তার তুলনায় ত্রিপুরায় অনেক বেশি জমি বনাচ্ছাদিত। যা গোটা দেশের পরিবেশ এবং ভারসাম্য রক্ষায় বড় ভূমিকা নিচ্ছে। এ কারনে ত্রিপুরার পুরস্কার পাওয়া উচিত।

ত্রিপুরায় প্রায় ৭১ শতাংশ জমি বনভূমির আওতায় থাকার কারনে কৃষি জমির পরিমাণ তুলনামূলক অনেক কম। ফলে রাজস্ব আয় কম হচ্ছে ত্রিপুরার। তাই এক্ষেত্রে ত্রিপুরাকে অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ করার যে দাবি মানিক সরকার করেছেন তাকে অনেকেই যুক্তিযুক্ত মনে করছেন। তাছাড়া গোটা বিশ্বই আজ সরব হচ্ছে কার্বন ট্রেডিং নিয়ে। এক্ষেত্রে কার্বন ট্রেডিংয়ের সুফল ত্রিপুরারও পাওয়া উচিত বলে মনে করছেন অনেকেই।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৩
তন্ময়/আরআই/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।