ঢাকা: চিনিবাহী কোমল পানীয় নিয়মিত পানে ‘মারাত্মকভাবে’ পরিবর্তন ঘটে মস্তিষ্কের। চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা দেখতে পেয়েছেন, কেউ নিয়মিতভাবে দীর্ঘ দিন ধরে মিষ্টি পানীয় পান করলে তিনি হাইপার অ্যাকটিভ (অস্বাভাবিকভাবে সক্রিয়) হন এবং তার মস্তিষ্কের শত শত প্রোটিনকে পরিবর্তিত হয়।
এর আগের গবেষণায় দেখা গেছে, ঠাণ্ডা পানীয় পান করলে হৃদপিণ্ডের সমস্যা, ডায়াবেটিস, ওজন বাড়া, হাড়ে ভাঙন, অগ্ন্যাশয়ে সমস্যা, প্রোস্টেট ক্যান্সার, মাংশপেশী দুর্বল হওয়া এবং পক্ষাঘাতগ্রস্ত হওয়া ইত্যাদি হয়।
এবারের গবেষণাটি শুধু মস্তিষ্কের ওপর প্রভাব নিয়ে করেছেন অস্ট্রেলিয়ার চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা। ইঁদুরের ওপর পর্যবেক্ষণ চালিয়েন তারা। এক মাসব্যাপী দুই দল ইঁদুরের একদলকে চিনিমিশ্রিত পানি ও আরেক দলকে স্বাভাবিক পানি পান করান গবেষকেরা।
সিডনি ম্যাককুয়াচিনি মিশ্রিত বা মিষ্টি কোমল পানীয় পানের প্রভাব শারীরিক স্বাস্থ্য ছাড়াও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও ফেলে।
সিডনির ম্যাকুয়ারি ইউনিভার্সিটির পিএইচডি গবেষক জেন ফ্রাঙ্কলিন ও তার দল গবেষণাটি চালিয়েছেন।
ফ্রাঙ্কলিন বলেন, অধিকাংশ পশ্চিমীয় সমাজগুলোয় আশঙ্কাজনকভাবে মিষ্টি পানীয় পান বাড়ছে। আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে মিষ্টি কোমল পানীয় খেলে আচরণে দীর্ঘস্থায়ী ও মস্তিষ্কের ক্রিয়া গভীর পরিবর্তন ঘটে।
ঝুঁকি কমাতে পরিমিত কোমল পানীয় পানের পরামর্শ দিয়েছেন তারা। গবেষকেরা বলেছেন, যদি তৃষ্ণান্ত হন, তাহলে পানি পান করুন। উপভোগের জন্য পরিমিতভাবে কোমল পানীয় পান করুন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৩
এসএফআই/এসআরএস