কলকাতা: লালগড়ের নেতাইগ্রামের গুলি চালিয়ে গণহত্যার দায় স্বীকার করল জনসাধারণের কমিটি। এর ফলে এই ঘটনায় মাওবাদীদের যোগ থাকার প্রমাণকে সমর্থন করছে।
রাজ্যের শাসকদল সিপিএমকে হুঁশিয়ারি দিয়ে জনসাধারণের কমিটি মুখপাত্র দিলীপ হাঁসদা শনিবার রাতে বলেছেন, ‘নেতাই গ্রাম থেকে শুরু হল। শুধু পশ্চিম মেদিনীপুর নয়, পুরুলিয়া, বাঁকুড়াতেও নতুন করে আবার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। যেখানে যত সিপিএম আছে তাদের গুড়িয়ে দেওয়া হবে। ’
এদিকে, এই ঘটনা মাওবাদীদের মদতে হয়েছে তার বেশ কিছু তথ্য প্রমাণ গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে। পূর্বপরিকল্পিত ভাবেই নারী ও কিছু গ্রামবাসীকে রেখে মিছিল সংগঠিত করেছিল তারা। সিপিএমের ঘরছাড়াদের আশ্রয় শিবির যে বাড়িটিতে ছিল তার দেওয়ালে প্রচুর গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে, পশ্চিমবঙ্গের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে এমনটাই জানা গেছে।
অন্যদিকে, রোববার দুপুর দেড়টার দিকে ঘটনার তদন্তে সিআইডির একটি দল নেতাই গ্রামে এসেছে। এই দলটির নেতৃত্বে আছেন ডিআইজি রাজীব মিশ্র। তারা তদন্ত করে দেখবেন, কোন দিক থেকে গুলি চলেছিল সেদিন, আহত মানুষদের শরীরে গুলির ক্ষত চিহ্সগুলিও দেখা হবে, ঘটনাস্থল থেকে তারা আলামত সংগ্রহ করবেন ফনেসিক পরীক্ষার জন্য।
লালগড়ের ঘটনা নিয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন ভারতের অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জি। তিনি বলেন, রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। দেখতে হবে কাদের জন্য ভেঙে পড়েছে? এই প্রসঙ্গে তিনি রাজ্য কংগ্রেসের বক্তব্যকে সমর্থন করেন।
উল্লেখ্য, এই ঘটনার জন্য রাজ্য সরকারকে দায়ী করে মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচর্যের অবিলম্বে পদত্যাগ দাবি করেছেন রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি মানস ভুইয়া।
ভারতীয় সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, ৯ জানুয়ারি, ২০১১