লন্ডন: উচ্চপদস্থ একজন ভারতীয় কূটনীতিক স্ত্রীকে প্রহারের অভিযোগে ইংল্যান্ডে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছেন। খবর ডেইলি মেইলের।
ব্রিটেনে নিযুক্ত ভারতের উর্ধ্বতন কূটনীতিক এবং বাণিজ্যদূত অনিল ভার্মা তার সরকারি বাসায় স্ত্রীর সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের এক পর্যায়ে তাকে প্রহার করেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
উত্তর-পশ্চিম লন্ডনের গোল্ডার্স গ্রিনে বসবাসকারী অনিলের প্রতিবেশীরা তার বাসা থেকে নারী কণ্ঠের চিৎকার শুনে পুলিশে খবর দেওয়ার পর পুলিশ এসে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এ কথা জানা যায়।
পুলিশ মি. ভার্মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও তার কূটনৈতিক পদমর্যাদার কারণে তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। মেট্রোপলিটন পুলিশ এ বিষয়ে পররাষ্ট্র বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এবং কূটনীতিক নিরাপত্তা আইন পর্যালোচনা শুরু করেছে।
গত বছর ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেইগ পার্লামেন্টে বলেছিলেন, বিদেশি কূটনীতিকরা পদমর্যাদার কারণে প্রায় ৭৮টি মামলায় ছাড় পেয়ে গেছেন যার মধ্যে যৌন হয়রানি কিংবা মদ্যপ হয়ে গাড়ি চালানোর মতো অভিযোগ ছিল।
১৯৬১ সালের ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী বিদেশি কর্মকর্তারা, তাদের স্বামী অথবা স্ত্রী, সন্তান এবং স্টাফরা ইংল্যান্ডের আইনের হাত থেকে মুক্ত।
হোয়াইট হলের একজন মুখপাত্র জানান, সরকার ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করেছে কিন্তু লন্ডনে অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশন থেকে এ ব্যাপারে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
ভারতীয় হাইকমিশনের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আমরা আশা করছি স্বামী-স্ত্রীর সমঝোতার ভিত্তিতে ব্যাপারটির নিষ্পত্তি হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১১