রকহ্যাম্পটন: অস্ট্রেলিয়ার বন্যাকে যদি ‘মহাপ্লাবনের’ সঙ্গে তুলনা করা হয় তবে বন্দী, চিৎকাররত প্রাণীদের জন্য সেন্ট্রাল কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস্কেটবল কোর্টকে ধরা যায় নুহের নৌকা।
কিন্তু প্রাণী কল্যাণ পরিদর্শক গ্রুপ আরএসপিসিএ-র অ্যাম্বুলেন্সে রকহ্যাম্পটনের বন্যাকবলিত রাস্তা থেকে সিক্ত এবং ভীতসন্ত্রস্ত অনেক প্রাণী নিয়ে আসার পর এখানকার স্বেচ্ছাসেবকরা তাদের ফিরিয়ে দেয়।
প্রাণী কল্যাণ পরিদর্শক প্রধান ল্যারি স্টেজম্যান বলেন, ‘বেশিরভাগ সময় প্রাণীগুলি কারও সঙ্গে থাকার সুযোগ পেলেই খুশি হয়। কারণ এগুলি ক্ষুধার্ত এবং ভয়ার্ত থাকে। ’
তিনি এএফপিকে আরও জানান, ‘আমরা প্রাণীগুলিকে উদ্ধার করব। ’ কিছু সংখ্যক প্রাণীকে তাদের মালিক পরিবার ফেলে যেতে বাধ্য হয়েছিল। এখন ওইসব প্রাণীকে উদ্ধার করতে বলছে সরকার।
কিন্তু অন্য প্রাণী বিশেষ করে কুকুরগুলোকে ভেজা এবং কিংকর্তব্যবিমুঢ় অবস্থায় ঘুরতে দেখা যায়।
স্টেজম্যান বলেছেন, গৃহপালিত প্রাণীগুলির কিছুটা সহায় আছে। এমনকি এগুলি ছোট্ট জায়গাতেও বসতে পারে। কিন্তু বন্যায় সবচেয়ে বেশি অসহায় হয়ে পড়েছে কৃষিকাজে ব্যবহৃত পশুগুলি।
স্টেজম্যান গত মাসে বন্যার প্রথম আঘাতে প্রায় ৩০ টি গবাদি পশুকে নদীতে ভেসে যেতে দেখেছেন। আরও অনেক প্রাণী মারা গেছে এবং আহত হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১১