মস্কো: সাউথ সুদানের ঐতিহাসিক ভোট পর্যবেক্ষণ করছেন প্রায় ৩ হাজার বিদেশি পর্যবেক্ষক। এ গণভোটের মধ্য দিয়ে আফ্রিকা মহাদেশের নতুন সীমানা নির্ধারিত হবে।
পর্যবেক্ষকদের মধ্যে আছেন, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার, মার্কিন রাজনীতিক জন কেরি, হলিউড অভিনেতা জর্জ কুনি, জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ। এছাড়া বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনও এতে রয়েছে।
সুদানের প্রায় ৩৯ লাখ মানুষ ৯ জানুয়ারি শুরু হওয়া ভোটের মধ্য দিয়ে দেশটির ভাগ্য নির্ধারণ করবেন। সাউথ সুদান স্বাধীন রাষ্ট্রের মর্যাদা পাবে না আফ্রিকার বৃহৎ দেশ হিসেবে স্বশাসিতই থেকে যাবে এ ভোটের মধ্য দিয়ে তা নির্ধারিত হবে।
সুদানের গণভোটের আইন অনুযায়ী এধরনের ভোটের বৈধতার জন্য নিবন্ধিত অন্তত ৬০ শতাংশ ভোটারের ভোট প্রয়োজন।
দক্ষিণ সুদানের রাজধানী জুবার ভোটকেন্দ্রগুলোর ভোটগ্রহণ পর্যবেক্ষণে রাশিয়া থেকে চারজন কর্মকর্তার একটি পর্যবেক্ষক দল পাঠানো হয়েছে।
মূলত ২০০৫ সালের সমন্বিত শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে এ গণভোটের আয়োজন করা হয়। এ শান্তি চুক্তির মধ্য দিয়ে উত্তর ও দক্ষিণ সুদানের মধ্যে সংঘটিত ২২ বছরের গৃহযুদ্ধের অবসান হয়। ১৯৮৩ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত সংঘটিত এ যুদ্ধে ২০ লাখ মানুষ নিহত হন এবং গৃহহীন হন দেশটির বিভিন্ন আদিবাসী গোষ্ঠী ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১১