ঢাকা: মৃত্যুর পঞ্চম দিন আগামী ১০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিক শ্রদ্ধা জানানো হবে মানবাধিকার আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলাকে। এরপর ১৫ ডিসেম্বর চির সমাহিত করা হবে সবার প্রিয় মাদিবাকে।
১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় স্মরণানুষ্ঠানে উপস্থিত থাকছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাসহ যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক কয়েকজন প্রেসিডেন্ট। উপস্থিত থাকছেন ব্রিটিশ রাজপরিবারের প্রতিনিধিসহ দেশটির প্রধানমন্ত্রীও। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকেও নেলসন ম্যান্ডেলাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে জোহানেসবার্গে ছুটে যাচ্ছেন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা।
শেষকৃত্য শেষে দেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ ক্যাপে’র কুনু গ্রামে পৈতৃক সমাধিস্থলে সমাহিত করা হবে তাকে।
প্রিয় ম্যান্ডেলার মহাপ্রয়াণে শোকে স্তব্ধ বর্তমান বিশ্বের ‘রোল মডেল’রাও।
ম্যান্ডেলাকে নিজের ‘হিরো’ উল্লেখ করে পাকিস্তানের মানবাধিকারকর্মী মালালা ইউসুফজাই বলেন, ম্যান্ডেলা শারীরিকভাবে হয়তো আমাদের সঙ্গে নেই, কিন্তু তিনি সবসময় আমাদের সঙ্গে রয়েছেন, আমাদের মধ্যে রয়েছেন। ম্যান্ডেলা স্বাধীনতা, ভালবাসা, সাম্যের প্রতীক। তাই ম্যান্ডেলা সারা পৃথিবীর। আমার হিরো।
ম্যান্ডেলাকে সাহস ও আদর্শের প্রতীক উল্লেখ করে তার পরিবারকে দেওয়া চিঠিতে তিব্বতের আধ্যাত্মিক নেতা দলাই লামা বলেন, তিনি আমার বন্ধু ছিলেন। ছিলেন সাহস ও আদর্শের প্রতীক। যদি আমরা বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারি, সেটাই হবে তার প্রতি আমাদের শ্রেষ্ঠ শ্রদ্ধার্ঘ।
ম্যান্ডেলাকে সাহসের প্রতীক উল্লেখ করে ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ বলেন, তিনি ছিলেন সাহসের প্রতীক। আমরা ম্যান্ডেলাকে হারিয়েছি, কিন্তু শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য তার শিক্ষা দেওয়া সাহস হারাইনি।
ম্যান্ডেলাকে স্বাধিকার ও সাম্যের প্রতিষ্ঠাতা আখ্যা দিয়ে মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সুকি বলেন, আমরা স্বাধিকার ও সাম্যের প্রতিষ্ঠাতাকে হারালাম। ম্যান্ডেলা আমাদের শিখিয়ে গেছেন, জন্ম, গায়ের রং দিয়ে কিছু বিচার্য নয়।
ক্রিকেট বিশ্বের ‘ভিনগ্রহী’ তারকা শচীন টেন্ডুলকার ম্যান্ডেলা নিজের অনুপ্রেরণার বাতিঘর উল্লেখ করে বলেন, আমার জীবনের অন্যতম স্মরণীয় ঘটনা ম্যান্ডেলার সঙ্গে দেখা হওয়া। ম্যান্ডেলা আমার অনুপ্রেরণা। চিরকাল আমার হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন তিনি। তার আত্মার শান্তি কামনা করি।
উল্লেখ্য, গত ৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে শান্তিবাদী এই মানবদরদীর জীবনাবসান ঘটে। দক্ষিণ আফ্রিকান প্রেসিডেন্টের কার্যালয় সূত্র নিশ্চিত করেছে, ১০ ডিসেম্বর স্মরণানুষ্ঠান শেষে আগামী ১৫ ডিসেম্বর চির সমাহিত করা হবে শান্তি প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের এ অগ্রদূতকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৩