ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

থাইল্যান্ডের আগাম নির্বাচন ২ ফেব্রুয়ারি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০১৩
থাইল্যান্ডের আগাম নির্বাচন ২ ফেব্রুয়ারি

ঢাকা: আগামী ২ ফেব্রুয়ারি আগাম নির্বাচন হতে যাচ্ছে থাইল্যান্ডে। মন্ত্রিসভার বৈঠকের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমকে ২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের তারিখ নির্ধারিত হওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন সরকারের মুখপাত্র তিরাত রতনাসেবি।



রতনাসেবি জানান, সোমবার মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠকে ২ ফেব্রুয়ারি আগাম নির্বাচন সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এর আগে, রাজধানী ব্যাংককে অব্যাহত বিক্ষোভ ও রোববার প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টির (ডিপি) সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার পর আগাম নির্বাচন দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা। চলতি সংসদ বিলুপ্ত করে নতুন নির্বাচনের ঘোষণা দেন তিনি।

স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, সরকারবিরোধী বিক্ষোভে সংহতি জানিয়ে বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের পদত্যাগ এবং বিক্ষোভকারীরা সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ‘গভর্নমেন্ট হাউস’ ঘেরাওয়ের ঘোষণা দেওয়ার পরই এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলেন ইংলাক।

সোমবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক জরুরি ভাষণে ইংলাক বলেন, যেহেতু অনেক মানুষই বিভিন্ন পক্ষ হয়ে সরকারের বিরোধিতা করছে, সেহেতু এখন থাই জনগণকেই ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া হলো সর্বোচ্চ পন্থা এবং এ জন্য নির্বাচন সম্পন্ন করা। থাই জনগণই (নির্বাচনের মাধ্যমে) পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।

তবে, ইংলাকের আগাম নির্বাচন ঘোষণার পরও তার সরকারকে হটিয়ে অনির্বাচিত ‘পিপলস কাউন্সিল’কে ক্ষমতায় বসাতে চাওয়া সরকারবিরোধীরা জানিয়েছে, বিক্ষোভ অব্যাহত থাকবে।

প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের প্রতিক্রিয়ায় বিক্ষোভকারী দলের প্রধান ও সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী সুথেপ থাউগসুবান বলেন, আন্দোলন চলবে। থাকসিন সরকারের মূলোৎপাটন করাই আমাদের উদ্দেশ্য।

তিনি বলেন, পার্লামেন্ট বিলুপ্ত ঘোষণা করে নতুন নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়া হলেও ‘থাকসিন সরকার’ এখনও ক্ষমতায় রয়ে গেছে।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে সরকার গঠন করেছিলেন লাল শার্টধারী সমর্থিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার বোন ইংলাক।

তবে, ‘থাকসিনের হাতে নিয়ন্ত্রিত ইংলাক সরকারের’ পদত্যাগ দাবি করে গত ২৪ ডিসেম্বর রাস্তায় নামে বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভ শুরুর পর বিক্ষিপ্ত সহিংসতার ঘটনাও ঘটেছে। এসব সহিংসতায় ৪ জন নিহত ও শতাধিক ব্যক্তি আহত হওয়ারও খবর পাওয়া যায়।

২০০৬ সালে থাকসিনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় সেনাঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন তিনি। ক্ষমতাচ্যুতির পরই দেশত্যাগ করে স্বেচ্ছানির্বাসনে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৩

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।