ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

বিজেপিকে সমর্থন দিচ্ছে না এএপি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৩
বিজেপিকে সমর্থন দিচ্ছে না এএপি

ঢাকা: নয়াদিল্লি সরকার গঠনে ভারতীয় জনতা পার্টিকে (বিজেপি) সমর্থন দেওয়ার কথা থেকে সরে এসেছে আম আদমি পার্টি (এএপি)। দলটির এক নেতা বলেছিলেন, কিছু শর্তে তারা বিজেপিকে সমর্থন দিতে পারেন।



মঙ্গলবার এএপি নেতা প্রশান্ত ভূষণ বলেছেন, আমি যা বলেছিলাম তা ছিল বাক্যালঙ্কার (রেটরিকাল)। আমি বুঝিয়েছিলাম, এএপির মতো বিজেপি হলে, যা এএপি বিশ্বাস করে এবং ধারণ করে সেগুলো পালন করলে আমরা তাদের সমর্থন দেওয়ার কথা ভাবতে পারি। কিন্তু এটা কখনই সম্ভব না, কেননা বিজেপি কখনই এএপি হবে না।

সোমবার ভারতের এনডিটিভিকে প্রশান্ত ভূষণ বলেছিলেন, যদি আমাদের বিজেপি লিখিত দেয় যে তারা জন লোকপাল বিল (দুর্নীতিবিরোধী ন্যায়পাল আইন) ২৯ ডিসেম্বরের মধ্যে পাস করে, তাহলে তাদের সমর্থন দেওয়ার কথা আমরা বিবেচনা করতে পারি।

তার এমন বক্তব্যে দলের মধ্যে প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। দল প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল দিল্লি সরকার গঠনে বিজেপিকে সমর্থন দেওয়ার বিষয়টি নাকচ করে দেন।

নয়াদিল্লির ‍রাজ্য সরকার নির্বাচনে কোনো দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। ৭০ আসনের মধ্যে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস পেয়েছে মাত্র ৮টি, এএপি পেয়েছে ২৮টি ও বিজেপি পেয়েছে ৩২টি এবং অন্যান্যরা পেয়েছে দুটি আসন। এককভাবে সরকার গঠন করতে ৩৬ আসন প্রয়োজন।

সরকার গঠন নিয়ে মধুর সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। বিজেপি বা এএপি কেউই সরকার গঠন করতে আগ্রহী নয়। উভয় দলই ‘দায়িত্বশীল’ বিরোধী দল হিসেবে ভূমিকা পালন করতে আগ্রহী।

সংবিধান অনুযায়ী সরকার গঠনে অগ্রাধিকার রয়েছে বিজেপি। কিন্তু দলটি বলছে, তারা সরকার গঠন করবে না, বরং তারা এক বছর বয়সী এএপিকে সরকার গঠনে আহ্বান জানাচ্ছে।

কিন্তু বিজেপির এ আহ্বানকে ‘অবান্তর’ বলে উড়িয়ে দিচ্ছেন আন্না হাজারের দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনকে ভিত্তি করে গড়া আম আদমি পার্টি। দলটির নেতা কেজরিওয়াল আন্না হাজারের আন্দোলনের সহযোদ্ধা ছিলেন। মতপার্থক্য হওয়ায় আন্না হাজারের আন্দোলন থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন তিনি। মূলত রাজনীতিতে প্রবেশ নিয়েই হাজারের সঙ্গে সাবেক আয়কর কর্মকর্তা কেজরিওয়ালের মতপার্থক্য হয়েছিল।

কেজরিওয়ালের অবস্থান স্পষ্ট। তিনি বলেছেন, তারা ‘দায়িত্বশীল বিরোধী’ হিসেবে পার্লামেন্টে ভূমিকা রাখবেন। কিন্তু বিজেপি প্রয়োজনীয় সংখ্যক সদস্য যোগাড় করতে না পারলে, তারা পুননির্বাচনের জন্য লড়বে।

বিজেপি এএপির নব নির্বাচিত আইন প্রণেতাদের সরকার গঠনে প্রলোভন দেখাচ্ছে বলে ভারতের তথ্য অধিকার আইন প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী কেজরিওয়াল অভিযোগ করেছেন। তবে বিজেপি এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৩

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।