ঢাকা: রাজধানী কিয়েভে সরকারবিরোধী ব্যাপক আন্দোলনের পর আলোচনার প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। সাবেক তিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সংকট নিরসনে তিনি আলোচনা করবেন।
সোভিয়েত ইউনিয়ন পরবর্তী ইউক্রেনের প্রথম প্রেসিডেন্ট লিওনিড ক্রাভচুকের প্রস্তাবিত ‘সর্ব-জাতীয় গোলটেবিল বৈঠক’ এর প্রতি সমর্থন জানিছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইনুকোভিচ।
রাজধানী কিয়েভ ছেড়ে দেওয়ার জন্য মঙ্গলবার পর্যন্ত সময় দেওয়া হলেও সোমবার রাত থেকে বিক্ষোভকারীদের শিবির হটিয়ে দিতে শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। মঙ্গলবারও অব্যাহত রেখেছে বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে দেওয়ার অভিযান। তবে কোনো সংঘর্ষ বা হতাহতের খরব পাওয়া যায়নি।
বিরোধী দল, দাবি করেছে, তাদের প্রধান কার্যালয়ে হানা দিয়েছে পুলিশ।
সরকারের নির্দেশ অগ্রাহ্য করে আন্দোলনের কেন্দ্রস্থল ইন্ডিপেন্ডেন্স স্কয়ারে সমর্থকদের সমবেত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিরোধী দল।
সোমবার প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের ওয়েবসাইটে বলা হয়, দেশের সংকট নিরসনে তিনি সাবেক তিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনা করবেন।
রাশিয়ার সঙ্গে প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্টতায় বেজায় চটেছেন সরকারবিরোধীরা। রাশিয়ার সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে গিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে প্রস্তাবিত একটি চুক্তি না করায় সরকার বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়। বিক্ষোভকারীরা সরকার ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন। সরকারি অফিস, রাস্তা-ঘাট অবরুদ্ধ করে রেখেছেন বিক্ষোভকারীরা।
সপ্তাহব্যাপী আন্দোলন চললেও রোববারতা ব্যাপক আকার ধারণ করে। এমনকি বিক্ষোভকারীরা কিয়েভে সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা স্ট্যালিন লেনিনের ভাস্কর্যও অপসারণ করেন। ওই দিনের বিক্ষোভকে ২০০৪ সালের অরেঞ্জ বিপ্লবের পর পর সবচেয়ে বৃহত্তম আন্দোলন বলে মনে করা হচ্ছে।
ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতি যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন। নিজের উদ্বেগের কথা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে ফোন করে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাইডেন উল্লেখ করেছেন, গণতান্ত্রিক সমাজে সহিংসতার স্থান নেই এবং আমাদের কৌশলগত সম্পর্কের সঙ্গে এটি অসামঞ্জস্যপূর্ণ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৩